আন্দোলনে ডিএনএ ল্যাব কর্মীরা
প্রকাশিত : ১১:৪৫, ৫ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৭, ১২ মার্চ ২০১৮
(ফাইল ফটো)
১০ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির (এনএফডিপিএল) ৬১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর। বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। এ কারণে সারাদেশের ডিএনএ ল্যাব বন্ধ রয়েছে। এতে নারী নির্যাতন মামলাসহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ল্যাবের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশীষ কুমার মজুমদার বলেন, ১০ মাস ধরে আমরা বেতন পাই না। কীভাবে কাজ করবো? গত বছর স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি প্রকল্প পরিচালককে (পিডি) নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরও আমরা বেতন-ভাতা পাচ্ছি না।
সারাদেশে মোট ৯টি ডিএনএ ল্যাব রয়েছে। যেখানে ৬১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পরিচালিত মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রাম ভায়োলেন্স এগেইনিস্ট উইম্যান (এমএসপিভিএডব্লিউ) এর আওতায় এই প্রকল্পটি শুরু হয়।
প্রকল্পটির কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৭ সালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণাললের সুপারিশ অনুযায়ী নির্যাতিত নারী ও শিশুদের সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে এই ল্যাব প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ২০০৬ সালের ২৩ জানুয়ারি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এনএফডিপিএল কার্যক্রম শুরু করে। ধীরে ধীরে বিভাগীয় শহরগুলোয়ও এর বিস্তৃতি হয়। তবে শুরু থেকেই প্রকল্প আকারে চলতে থাকায় এতে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ৬১ জনের মধ্যে ২২ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ২২ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, বাকিরা কম্পিউটার অপারেটর। এছাড়াও প্রতিটি ল্যাবে একজন করে আউট সোর্সিং করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ল্যাবে কর্মরত আছেন ১৫ জন। ঢাকার বাইরে ৪৪ জন। ঢামেকে ছয়জন এবং প্রতিটি বিভাগীয় শহরের ল্যাবে দুইজন করে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজ করেন।
ধর্ষণকারী শনাক্তকরণ, পিতৃত্ব, মাতৃত্ব, ভ্রাতৃত্ব, অজ্ঞাত ব্যক্তি, কিডনি দাতা-গ্রহীতার মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করা হয় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
এসএইচ/