কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসায় শিয়ালকাঁটা
প্রকাশিত : ১২:৩৪, ৬ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৫, ৮ অক্টোবর ২০১৮
সাধারণত অসুখ হলেই আমরা চিকিৎসকের কাছে ছুটি। এতে দোষের কিছু নেই। তবে আমাদের প্রকৃতিতে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো গ্রহণ করলে বহু জটিল রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এমন একটি উপাদান হচ্ছে শিয়ালকাঁটা। এই গাছ কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। ড. তপন কুমারের ‘ বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’র বইয়ে এর আরও কিছু গুণাবলি তুলে ধরা হয়েছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো
১) ইহার রস ক্ষতরোগে উপকারী।
২) শিয়ালকাঁটা গাছের রস, চন্দন গাছের রসের সঙ্গে মিশ্রিত করে কুষ্ঠ রোগে প্রয়োগ করে।
৩) তৈল ৩০-৬০ ফোঁটা পরিমান রক্ত আমাশয়ে ব্যবহৃত হয়।
৪) আঠার ক্ষত নিবারণ করিবার শক্তি আছে।
৫) বোলতা ও ভীমরুল কামড়ালে মূল প্রলেপ স্বরূপ ব্যবহৃত হয়।
৬) বীজের তেল সরিষার তেলে পাক করে পাঁচড়া ও চুলকণায় ব্যবহৃত হয়।
৭) আঠা গণোরিয়া ও কুষ্ঠরোগে ব্যবহৃত হয়।
পরিচিতি
শিয়ালকাঁটা সাধারণত- শুকনা জায়গাতেই জন্মে, সরস জায়াগা পছন্দ করে না। শিয়ালকাঁটা বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ, এক মিটার আন্দাজ উঁচু এবং খাড়া কাণ্ড বিশিষ্ট উদ্ভিদ। এর পাতাগুলি ঢেউ খেলানো। পাতাগুলির কিনারা অল্পখণ্ডিত ও ধারালো কাঁটাযুক্ত। এ গাছের রস (তরুক্ষীর) গাঢ় এবং উজ্জল হলুদ রঙের। ফল পীতবর্ণ, ফল দেখতে কালো সরিষার ন্যয়। একটি ফলে বহু বীজ থাকে।
এসএইচ/