ওরস্যালাইনের আবিষ্কারক আর নেই
প্রকাশিত : ১৬:৫৭, ৬ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৬, ১২ মার্চ ২০১৮
চলে গেলেন ওরস্যালাইনের আবিষ্কারক ডা. রফিকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে মারা যান তিনি। অনেকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম ১৯৩৬ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। পরে তৎকালীন আইসিডিডিআর-এ ১৯৬০ সালে যোগ দেন। সেখানে তিনি বেশ কিছু ওষুধ আবিষ্কার করেন। এর মধ্যে ওরস্যালাইন অন্যতম। ২০০০ সালে সেখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর বাংলাদেশি শরণার্থী কলেরা রোগে আক্রান্ত হলে ওই রোগীদের বাঁচাতে ওরস্যালাইনের প্রয়োগ করেন তিনি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তার আবিষ্কার ওরস্যালাইনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ১৯৮০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাঁর ওরস্যালাইনকে স্বীকৃতি দেয়। ডায়রিয়ার হাত থেকে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয় খাবার স্যালাইনকে (ওআরএস)।
সব ওষুধের দোকানেই স্বল্প মূল্যে খাবার স্যালাইন পাওয়া যায়। তবে হাতের কাছে এটি পাওয়া না গেলেও এক মুঠো চিনি বা গুড় আর তিন আঙ্গুলের এক চিমটি লবণ আধা লিটার বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে ডায়রিয়ার প্রাণরক্ষাকারী দ্রবণটি তৈরি করা যায়। জনস্বাস্থ্যে খাবার স্যালাইনের গুরুত্ব বিবেচনায় ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যান্সেট এটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল।
একে// এআর