ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 চুল ওঠা বন্ধ করতে দুর্বাঘাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৭, ১১ মার্চ ২০১৮

দুর্বা ঘাস বাড়ির আনাচে-কানাচে এবং মাঠে সবখানে দুর্বা ঘাস জন্মাতে দেখা যায়। এর অনেক গুন রয়েছে। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে দুর্বা ঘাসের ওষুধী গুন তুলে ধরেছেন।

একুশে টিভি অনলাইনে তা তুলে ধরা হলো-

১) পায়োরিয়া রোগে (মাড়ির প্রদাহজনিত রোগ) : দুর্বাঘাস শুকিয়ে গুঁড়ো করে সে গুঁড়ো দিয়ে দাঁত মাজলে পায়োরিয়া সেরে যাবে।

২) কেটে গেলে কিংবা আঘাতে রক্তপাত : শরীরের কোথাও কেটে গেলে ‍যদি রক্ত পড়ে, তবে টাটকা দুর্বা সামান্য পানি দিয়ে থেঁতো করে নিয়ে সেই কাটা জায়গায় লাগিয়ে বেঁধে দিলে রক্তপড়া বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া কাটা জায়গা খুব দ্রুত সেরে যায়।

৩) চুল ওঠা : একটি স্টীলের পাত্রে এক লিটার নারকেল তেল নিয়ে আগুনে গরম করতে হবে। তেলের ফেনা মিলিয়ে যাবার পর পাত্র আগুনে বসাতে হবে। দুর্বার রস তেলের মধ্যে সবটা মিশে গেলে এবার আগুন থেকে নামিয়ে বড় বোতলে ভরে রাখতে হবে। প্রতিদিন গোসলের এক ঘণ্টা আগে এটা চুলে মাখলে চুল ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।

৪) গা-বমি ভাব : কোন কারণে বমির ভাব থাকলে এক চামচ দুর্বার রসে আধা চামচ চিনি মিশিয়ে আধা ঘন্টা পরপর খেলে গা-বমি ভাব দূর হয়।

৫) সাদা ও রক্ত আমাশয় : চারটি কচি টাটকা জামপাতা, এক গ্রাম দুর্বাঘাস এই দুটি একসঙ্গে সামান্য পানি দিয়ে বেটে নিন। এরপর তার রস ছেঁকে সামান্য গরম করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দুইবার খাওয়ালে তিন-চারদিনের মধ্যে সাদা ও রক্ত আমাশয় নিরাময় হবে।

৬) রক্তপিত্ত : হঠাৎ নাক-মুখ দিয়ে রক্তপড়া শুরু হলে একে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রক্তপিত্ত বলে। এই রকম সমস্যা হলে দুর্বার রস কাঁচা দুধ মিশিয়ে খাওয়ালে এটি উপশম হয়।

৭) প্রস্রাব হতে কষ্ট : প্রস্রাব হতে কষ্ট হচ্ছে অথচ পাথুরী নয়, এ রোগে দুই চামচ দুর্বার রসে দুধ ও পানি মিশিয়ে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়। তবে অর্শ্ব থাকলে কাজ হয় না।

৮) শরীরে ‍চুলকানি : শরীরে কিছুই উঠে নি অথচ খুব চুলকায়। সেক্ষেত্রে দুর্বার রস চারগুণ তিল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে গরম করে শরীরে লাগাতে হবে। আয়ুর্বেদ মতে দুর্বা শতগুণসম্পন্ন এবং মধুর ও ঈষৎ কষায় রসসম্পন্ন, দুর্বার গুণ কিন্তু বর্ষার পর থেকেই বৃদ্ধি পায়।

৯) নাক থেকে রক্ত পড়া : মাঝে মাঝে নাক টনটন করে আবার নাক থেকে রক্তও পড়ে অথচ উচ্চ রক্তচাপ নেই। সেক্ষেত্রে দুর্বা ঘাসের নস্য নিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

পরিচিতি : এটা ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ এবং জীব। দীর্ঘকাল ধরে প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে। বর্ষার আগেই বৈশাখের প্রথম বৃষ্টি পেয়ে প্রতিটি গিট থেকে শেকড় বেরিয়ে মাটি আঁকড়ে দুর্বার ডগা এগিয়ে যায়। সাধারণত আমরা যে দুর্বা দেখে থাকি সেটা ছাড়াও আরু দুই জাতের দুর্বা রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি সাদা এবং অপরটি নীল। এ দুই জাতের দুর্বা সাধারণত আমাদের দেশে খুব কমই দেখা যায়।

কেএনইউ/ এসএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি