পুরুষের জন্ম নিয়ন্ত্রক ট্যাবলেট, নারীর হতাশা বাড়ায়
প্রকাশিত : ১২:০০, ২৪ মার্চ ২০১৮
আজ থেকে এক শতাব্দী পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জন্ম নিয়ন্ত্রক ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্গারেট স্যাংগারের হাত ধরে এই জন্মনিয়ন্ত্রক ক্লিনিক মার্কিন সাম্রাজ্যে আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। আর আজ থেকে ৪০ বছর পূর্বে জন্ম নিয়ন্ত্রক খাওয়ার বড়ি অনুমোদেন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর।
১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত প্রথম জন্ম নিয়ন্ত্রক এই ট্যাবলেট কেবল বিবাহিত দম্পত্তিদের জন্য অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক চাইলেই এই নিরোধক ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারবে বলে আদালত রায় দেয়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এমনকি বিশ্বজুড়ে এর প্রচলন বাড়তে থাকে। প্রথমদিকে নারীরা এর ব্যবহার বেশি করলেও সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষরাও এ পদ্ধতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
গত সপ্তাহে পুরুষদের জন্য একটি কার্যকরী অস্থায়ী জন্ম নিরোধক ট্যাবলেট অবিষ্কার করা হয়। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের একদল গবেষক পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রক পিল নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষণায় চিকিৎসকরা বলেন, যে কোনো খাবারের সঙ্গে ট্যাবলেটগুলো খেলে, তা ওষুধের কার্যকারীতা বাড়ায়। তবে এগুলো রক্তের কোলেস্টেরলের উপর প্রভাব ফেলে বলেও জানান তারা। শুধু তাই নয়, এ ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার ফলে পুরুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে বলেও জানান গবেষকরা।
এই পিলগুলো ব্যবহারে পুরুষের শুক্রানো কমে কি না, তা যাচাই করার জন্যই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে গবেষকরা। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রক পিল ব্যবহারে তাদের স্ত্রীরা দীর্ঘ সময় ধরে মানুষিক রোগে ভোগেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, এ পিল ব্যবহারে পুরুষের ওজন বৃদ্ধি পায়। এতে পুরুষরা নানা জটিলতায় ভোগেন। তবে কোনো কারণে বন্ধ্যত্ব দেখা দিলে তখন সব দোষ গিয়ে পড়ে নারীর ওপর। এতে মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে তারা। জন্মনিরোধক পিল ‘এনভিড’ প্রথম ট্যাবলেট যেটি প্রয়োজনের চেয়েও বেশি পরিমাণ হরমোন বহন করে। এটি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। কম হরমোন দিয়ে নির্মিত ট্যাবলেট কার্যকরী করে তুলতে গবেষকরা কয়েক দশক সময় কাটিয়েছে।
পুরুষরা কনডম ব্যবহার করতে না চাওয়ায় মূলত নারীদের-ই জন্মনিরোধক পিল বা ইনজেকশান নিতে হয় জানিয়ে এক নারী বলেন, এই পিলের মাধ্যমে সাময়িক কিছু ক্ষতি হলেও পুরুষদের এটা ব্যবহার করা উচিত। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নারীর পাশাপাশি একজন পুরুষেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। এদিকে গবেষকরা বলছেন, এ জন্ম নিরোধকটি পুরুষের কিছু ক্ষতি করলেও পুরুষের এটা গ্রহণ করা উচিত।
সূত্র: শিকাগো টাইমস
এমজে/