রাসায়নিক ওষুধের পরিবর্তে হারবাল ওষুধ ব্যবহার করবে তুরস্ক
প্রকাশিত : ১৬:১২, ২৪ মার্চ ২০১৮
স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ করে ওষুধের খরচ কমাতে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় হাসপাতালগুলোকে নতুন পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। নতুন পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে বিশেষ মাধ্যমে রক্ত সরবরাহ করাসহ আরও কয়েকটি পদ্ধতি।
দেশটির রাসায়নিক ওষুধের অবৈধ ব্যবহাররোধে নতুন এই পদ্ধতি কার্যকর হবে বলে ধারণা করছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাসায়নিক ওষুধের পরিবর্তে ঐতিহ্যগত হারবাল ওষুধ ও বিকল্প ওষুধ ব্যবহারে চিকিৎসকগণ পরামর্শ দিতে পারবেন বলে নতুন নীতিতে অনুমোদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
কেবল ক্যান্সাররোগী ও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী ছাড়া বাকিদের ক্ষেত্রে হারবাল ব্যতিক্রম ওষুধ ব্যবহারে রোগীদের উৎসাহিত করতে চিকিৎসকদের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি প্রতিদেবন প্রকাশ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রোগীরা নিজে যে ওষুধ (হারবাল/ রাসায়নিক) ব্যবহার করতে চাইবে, চিকিৎসকগণ সেই ওষুধই তাদের প্রেসক্রাইব করবেন। হারবাল ওষুধ ও রাসায়নিক ওষুধের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে নতুন এই পরিকল্পনার আওতায়, ঠিক কতটি প্রতিষ্ঠান এ নীতি মেনে চলবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
নতুন এই স্বাস্ব্যসেবার আওতায় যোগব্যয়ামকে মূল উপকরণ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আকুপাঙচার, মেসো থেরাপি, রক্তদান, হোমিওপ্যাথিক, পাইটোথেরাপি, অস্টিওপ্যাথি, ওজোন, এপিথেরাপি এবং প্রোলিথেরাপির মতো চিকিৎসাপদ্ধতি। আর এই নতুন পরিকল্পনায় দেশটিতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে।
তুর্কী এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঐতিহ্যগত এই চিকিৎসা পদ্ধতি যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশুগুলোতে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নতুন এই পদ্ধতিটি অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিবেদনটি। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ৩০টি দেশ থেকে ২৯৩ জন বিজ্ঞানী নিয়ে আসা হয় তুরস্কে। ঐতিহ্যগত ওষুধ ও রাসায়নিক ওষুধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল।
সূত্র: ডেইলি নিউজ
এমজে/