ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

বাত রোগের চিকিৎসায় মনসা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৫, ২৫ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১২:২৬, ২৭ মার্চ ২০১৮

মনসা গাছ বিভিন্ন রোগ প্রতিকারে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে এর ওষুধী গুণাগুণ তুলে ধরেছেন।

ওষুধী ব্যবহার-

১) হুপিং কাশি হলে মনসার পাতা আগুনে সেঁকে চেপে রস বের করে চিনি মিশিয়ে খেলে কয়েকদিনের মধ্যে কাঁশি সেরে যায়।

২) বাতরোগে মনসার পাতাকে আগুনে ঝলসে নিযে তার রস দু-চার ফোঁটা অল্প দুধে মিশিয়ে দুই বেলা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৩) অর্শ রোগে মনসা গাছের গোড়ার অংশ টুকরো টুকরো করে কেটে পুড়িয়ে মনসার আঠা সহযোগে পুনরায় পুড়িয়ে মলম তৈরি করে লাগালে রোগ উপশম হয়।

৪) মনসার পাতার কাজল তৈরি করে তা শিশুদের চোখে লাগালে চোখে পিচুই পড়া বন্ধ হয়।

৫) মনসার আঠা দিয়ে এক রকম আয়ুর্বেদীয় তেল তৈরি করা হয়।

৬) মনসার আঠা অল্প নারকেল তেল সহযোগে সেদ্ধ করে নিতে হবে যতক্ষণ না চটচটে ভাব হচ্ছে। পরে সেটাকে শিশিতে ভরে রেখে দিতে হবে। এই তেল ‘এলোপেসিয়া এরিয়েটা’ নামক বিক্ষিপ্ত টাকে একদিন অন্তর লাগালে চুল গজায়।

পরিচিতি : মনসা গাছ বেশি উঁচু ও ডালপালাযুক্ত হয় না। এ গাছের গায়ে ও ডালে ছোট ছোট অসংখ্য কাঁটা হয়। যে মনসা গাছে বেশি ঘন কাঁটা থাকে সে গাছের আঠাই বেশি ভেষজ গুণ সম্পন্ন হয়। এ গাছ কাটলে বা এর পাতা কাটলে বা এর পাতা ভাঙলে দুধের মতো সাদা আঠা বেরুতে থাকে। শিগিগিরই আঠা শুকিয়ে যায়। গাছে বসন্তকালে হলুদ রঙের ছোট ছোট ফুল হয়। আবার এ বসন্ত ঋতুর শুরুতেই গাছে ছুরি বা কাটারি দিয়ে আঘাত করে তরুক্ষরি সংগ্রহ করা হয়।

কেএনইউ/ এসএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি