ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

বাড়ছে চোখে যক্ষ্মার ঝুঁকি  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩২, ৩১ মার্চ ২০১৮

মিতালির বয়স এখন ৪০। তার চোখের সাদা অংশ মাঝে মাঝেই লাল হয়ে যায়। ওষুধের দোকান থেকে কয়েক বার অ্যালার্জির ওষুধও কিনে খেয়েছিলেন তিনি। সমস্যা মেটেনি। এতে তার চোখে আশপাশের সব কিছু ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে সে  জানতে পারেন, সমস্যার কারণ যক্ষ্মা।

চিকিৎসকরা বলছেন, মিতালির মতোই বর্তমানে অনেকের চোখে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকৃত কারণ দেরিতে সামনে আসে। ততদিনে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। অথচ যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা আটকে রয়েছে শুধু ফুসফুসেই। এ দিকে আড়ালে বেড়ে চলেছে চোখে যক্ষ্মার ঝুঁকি। মোট যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর প্রায় ১০ শতাংশের চোখে এই রোগ হয়। আর প্রতি তিনশো জনের এক জন চোখের যক্ষ্মায় ভোগেন।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে যক্ষ্মার ব্যাক্টেরিয়া থাকলে তা চোখে দ্রুত প্রভাব ফেলে। অথচ সেটা বুঝতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। এটাই এই রোগের অন্যতম সমস্যা।

ভারতের বিখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেবাশিস ভট্টাচার্য জানান, বারবার চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যাওয়া কিংবা একটানা চোখে ব্যথা যক্ষ্মার উপসর্গ। অথচ রোগীরা এই সমস্যাগুলো নিয়ে অবহেলা করেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে দৃষ্টি চলে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে রোগ সম্পূর্ণ সেরে যায়।

তার মতে, ফুসফুস কিংবা হাড়ের যক্ষ্মাতেও চোখে প্রভাবের ঝুঁকি থাকে। অধিকাংশ যক্ষ্মা আক্রান্তের ধারাবাহিক চিকিৎসা না করানো রোগের একটা কারণ। যার কারণে সমস্যা ফিরে আসে। অনেক ক্ষেত্রে যক্ষ্মার চিকিৎসা করে সমস্যা মিটলেও চোখের সমস্যা শুরু হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, যক্ষ্মার চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে চোখে তার কী প্রভাব পড়ছে, সে দিকে নজরদারিও জরুরি।

সূত্র: আনন্দবাজার।

 

 

আর/ এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি