ঢাকা, শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ঈদের দিন ডায়াবেটিস রোগীর খাবার

ডা. উম্মে সালমা

প্রকাশিত : ১১:০৩, ১৬ জুন ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

রমজানে দীর্ঘ এক মাস দিনের বেলায় পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে অামাদের পরিপাকতন্ত্র দিনের বেলায় বিশ্রামরত অবস্থায় থাকে। কিন্তু ঈদের দিনে যখন অামরা অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করি বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও গুরুপাক খাবার তখন অামাদের পরিপাক তন্ত্রের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় যার ফলে পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটি, পেট ব্যাথা, ডায়রিয়া সহ বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
এই উপসর্গগুলি ছাড়াও একজন ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে বাড়তি যে উপসর্গটি দেখা দিতে পারে তা হলো রক্তের শর্করা বা চিনি অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া। অার এই কারণে ডায়াবেটিক রোগীদের ঈদের দিন খাবারের ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার বিশেষ করে সেমাই, ফিরনী, জর্দা, পুডিং এই জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। সকালের নাস্তায় রুটি পরোটা নুডুলস এই জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। দুপুরে ও রাতে যদি গুরুপাক খাবার বিশেষ করে পোলাও,  বিরিয়ানী, রোস্ট, রেজালা খেতে চায় তবে সেটা অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে হতে হবে। সাথে অবশ্যই সালাদ খেতে হবে। এছাড়াও পুদিনা পাতার ভর্তা, টক দই, টক দই দিয়ে বানানো বোরহানি হজমে সহায়তা করে।
কোল্ড ড্রিংকস, বিশেষ করে কোকা কোলা, স্প্রাইট, সেভেন অাপ, এনার্জি ড্রিংক ইত্যাদি খাওয়া যাবেনা। বিকল্প চিনি দিয়ে বানানো লেবুর শরবত বা রং চা খাওয়া যেতে পারে।  সারাদিনে অবশ্যই প্রচুর পানি খেতে হবে।  ঈদের দিন সকালে খালি পেটে এবং সকালের নাস্তার বা দুপুরের খাবারের দুই ঘন্টা পর গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তের শর্করা পরিমাপ করা যেতে পারে।
[লেখক : ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ। বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা।]

অনু লেখক : অালী অাদনান
এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি