ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কিডনি রোগের ৫ লক্ষণ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩৭, ২৮ জুন ২০১৮

কিডনির রোগ হলে শরীরে কিছু সংকেত দেখা যায়। আর এর মাধ্যমে আপনি সহজেই জানতে পারবেন আপনার কিডনি দুর্বল না সবল।  

বিশেষজ্ঞরা জানান, কিডনির অক্ষমতায় রেনাল উবিউলসের ক্ষতি হয়, যা পলিইউরিয়ার সৃষ্টি করে। মূত্রের রঙ গাঢ় হলুদ কিংবা কমলা রঙ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে মূত্রের সঙ্গে রক্তক্ষরণ ও অত্যধিক ফেনা হতে পারে। 

যদি কারো হঠাৎ করে এ রকম সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে সমস্যা অল্প থাকতেই চিকিৎসার মাধ্যমে তা সমাধান করা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিডনি সমস্যার কিছু লক্ষণ।

১) অরুচি

শরীরের বর্জ্য পদার্থের আরেকটি উপাদান হচ্ছে অ্যামোনিয়া। যদি অ্যামোনিয়া রক্তে মেশে তা হলে তা শরীরে প্রোটিন নষ্ট করে ফেলে। কিডনির অক্ষমতায় শরীর বর্জ্য হিসেবে অ্যামোনিয়া ফিল্টার করতে পারে না। রক্তে অত্যধিক পরিমাণের অ্যামোনিয়ার কারণে অরুচি হয়। 

২) চোখ ঝাপসা ও মানসিক অস্থিরতা

শরীরের বর্জ্য পদার্থের একটি বড় অংশ হচ্ছে ইউরিয়া। কিডনির সমস্যার কারণে ইউরিয়া শরীর থেকে বের না হয়ে বরং রক্তে মিশে যায়। এই দূষিত রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছে মানসিক অস্থিরতা ও ঝাপসা দেখা- এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। যদি ইউরিয়ার পরিমাণ অত্যধিক হয়, তা হলে তা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। এতে রোগীর কোমাতেও চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

৩) শরীরে ব্যথা

কিডনি ও লিভারে এক ধরনের ফ্লুইড ভর্তি সিস্ট বা গুটির সৃষ্টি হয়। এই সিস্টের মধ্যে থাকা ফ্লুইড এক ধরনের বিশেষ টক্সিন বহন করে, যা শরীরের শিরা বা ধমনীগুলোতে ক্ষতি করতে পারে। একাধিক শিরার বা ধমনীর ক্ষতি হলে তা শরীরে ব্যথা সৃষ্টি করে। ভোঁতা অনুভূতি, খোঁচা কিংবা জ্বলুনির মতো হতে পারে।

৪) দুর্বলতা

কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে তা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন এরিথ্রোপ্রোটিন উৎপন্ন করতে পারে না। এই হরমোন বোনম্যারো থেকে ব্লাডসেল উৎপাদনে সাহায্য করে। এ ছাড়া দুর্বলতা কিডনি সমস্যার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই দুর্বলতা আসে রক্তশূন্যতা থেকে। কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করতে পারে, তা হলে রক্ত ক্রমাগত দূষিত হতে থাকে। যার কারণে রক্তে নতুন করে ব্লাডসেল উৎপন্ন হয় না।

৫)শ্বাসকষ্ট

যখন কিডনি কাজ করা বন্ধ করে, তখন শরীরের বর্জ্য পদার্থ রক্তে মিশতে শুরু করে। এই বর্জ্য পদার্থের বেশিরভাগই হচ্ছে অম্লীয় পদার্থ। তাই এ বর্জ্য যখন রক্তের সঙ্গে ফুসফুসে পৌঁছায়, তখন ফুসফুস সেই বর্জ্য বের করার জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা শুরু করে। যার কারণে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ফুসফুসে ঢুকতে পারে না। এ থেকেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।

এমএইচ/এসি 

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি