ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

হার্টের সুস্থতার চাবিকাঠি সুশৃংখল জীবন : ডা.এ বি এম আবদুল্লাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১১, ৫ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১১:২২, ৫ জুলাই ২০১৮

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

Ekushey Television Ltd.

মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে হৃৎপিণ্ড বা হার্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট সুস্থ থাকলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও সুস্থ এবং কর্মক্ষম থাকবে। আর হার্টের সুস্থতার পূর্বশর্ত হচ্ছে সুশৃংখল জীবন যাপন।

অসংক্রামক রোগ দিনদিন বেড়েই চলছে তার মধ্যে হৃদরোগ অন্যতম, যা বিশ্বের এক নম্বর মরণ ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত। একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে তা অনেক সময় স্থায়ী রোগ হিসেবেই বিবেচিত হয়, সারা জীবন এ মারাত্মক ব্যাধি পুষতে হয় এবং অনেক ওষুধপত্র খেতে হয়।

আবার হৃদরোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা জটিল ও ব্যয়বহুল এবং দেশের সব জায়গায়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধাও দুর্লভ।

এমনকি আক্রান্ত হলে হাসপাতালে আনতে আনতেই রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে। তাই এই রোগ প্রতিরোধ করাই উত্তম।

হৃদরোগের কারণ
বিভিন্ন কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যাকে বলা হয় রিস্ক ফ্যাক্টর। কিছু কিছু সহজেই নিয়ন্ত্রণযোগ্য, আর কিছু অনিয়ন্ত্রণযোগ্য। অনিয়ন্ত্রণযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো হলো বয়স, লিঙ্গ ও বংশগত। নিয়ন্ত্রণযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরের মধ্যে রয়েছে ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য, ডায়াবেটিস, মুটিয়ে যাওয়া, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, চর্বি জাতীয় খাদ্য বেশি এবং আঁশ জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া, মানসিক চাপ, মদ্যপান ইত্যাদি। অবহেলা না করে নিরাময়যোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলেই হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

প্রতিরোধে করণীয়

ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য- যেমন জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য সম্পূর্ণভাবে বর্জন করুন। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

নিয়মিত হাঁটুন ও ব্যায়াম করুন। কম চর্বি ও কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খান। যেমন খাশি বা গরুর মাংস, কলিজা, মগজ, গিলা, গুর্দা কম খেতে হবে।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই চর্বিজাতীয় যেমন পোলাও, বিরিয়ানি, মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। বেশি আঁশযুক্ত খাবার, প্রচুর শাকসবজি ও টাটকা ফলমূল বেশি করে খান।

যেকোনো মাছ এমনকি সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ভালো। তরকারিতে প্রয়োজনীয় লবণের বাইরে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে, তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
শরীরকে যেমন সুস্থ রাখতে হবে, তেমনি মনকেও রাখতে হবে সুস্থ। তাই মানসিক ও শারীরিক চাপ পরিহার করতে হবে। নিয়মিত বিশ্রাম, সময় মতো ঘুমানো, শরীরকে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম দেওয়া, শখের কাজ ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এবং মন প্রফুল্ল থাকে।

সুস্থ হার্ট মানেই সুস্থ মানুষ, সুস্থ জীবন। আর সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই হার্ট সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।

লেখক : ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ

মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি