ঢাকা, বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

১১ নবজাতকের মৃত্যুর পর ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৫, ২৫ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৩৩, ২৫ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

গর্ভকালে ভায়াগ্রা গ্রহণের ফলে নবজাতক শিশু মারা যায় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণাকালে ১১ নবজাতকের মৃত্যুর পর ওষুধটির ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নেদারল্যান্ডের ‘ডাচ স্টাডি’ নামের গবেষণায় বেশ কয়েকজন নারী অংশ নিয়েছিলেন। গর্ভকালে তাদের ভায়াগ্রা দেওয়া হয় সেবনের জন্য। যারা ভায়াগ্রা সেবন করেছিলেন, তাদের মধ্য থেকে ১১ নারী মৃত নবজাতকের জন্ম দেন।

এর আগে মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর বৃদ্ধির জন্য ভায়াগ্রা সেবন করতেন গর্ভবতী নারীরা। মনে করা হতো, ভায়াগ্রা ব্যবহারের ফলে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যেত, যা অনাগত শিশুর লাঞ্জকে সংক্রমিত করতো বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে দেখা দরকার কি জন্য শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ভায়াগ্রা ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক নির্ণয়ে গবেষণা করা হলেও, তখন এর ক্ষতিকর দিকটি দেখা যায়নি।

২০১০ সালে গবেষকরা জানায়, ভায়াগ্রা ব্যবহারের চিকিৎসা পদ্ধতি কেবল পরীক্ষণের জন্যই ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশ কয়েকটি দেশে নির্দিষ্ট সময়ের কিছু দিন আগে জন্ম নেওয়া শিশুর বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভায়াগ্রা ব্যবহার করেন নারীরা।

নেদারল্যান্ডের ১১টি হাসপাতালে এই পরীক্ষা করা হয়। আমস্টারডাম মেডিকেল হাসপাতালে এই পরীক্ষা করা হয়। গবেষণাকালে ৯৩ নারীকে সিলডাডেনাফিল এবং ৯০ নারীকে ডামি ড্রাম দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২০ শিশু জন্মের পর লাঞ্জ সমস্যায় ভুগছিলেন। এদের মধ্যে ১৭ জনের মাকে দেওয়া হয়েছিল ভায়াগ্রা বা সিলডানাফিল। আবার এদের মধ্যে ১১ জন লাঞ্জ জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।

এমজে/

ভায়াগ্রা ব্যবহার ডেকে আনতে পারে আপনার মৃত্যু

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি