ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এমআর করলে কি পরে সন্তান হয়: কাজী ফয়েজা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০১, ১১ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ২০:০২, ১১ অক্টোবর ২০১৮

মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে সেই মাসিক নিয়মিত করার এক ধরনের চিকিৎসার নামই এমআর (মিন্সট্রুয়াল রেগুলেশন)৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভধারণের কারণেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়৷ তখন একটা নির্দিষ্ট সময় পর‌্যন্ত এমআর করার সুযোগ থাকে। মূলত গর্ভপাত বন্ধ করতে একটা সময় এমআরকে বৈধতা দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশের এমআরের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। এটি ব্যবহার হচ্ছে অনাকাঙিক্ষত সন্তানকে হত্যা করতে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে এমআর-কে বৈধতা দেয় সরকার৷ আগে এমআর করার সর্বোচ্চ সময়সীমা ছিল বাচ্চার বয়স আট সপ্তাহ, কিন্তু এখন ১২ সপ্তাহ ৷ প্রতিটি সরকারি হাসপাতালেই এমআর-এর আলাদা বিভাগ আছে৷

এখানে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিলকিস বেগম চৌধুরীর একটি পরামর্শ উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, ‘আমরা ৪২ দিন পর্যন্ত এমআর-এর সুযোগ দেই৷ কারণ, ওই সময় পর্যন্ত ঠিক নিশ্চিত হওয়া যায় না গর্ভে সন্তান আছে কি নেই৷ কিন্তু এর বেশি সময় হলে আমরা কাউন্সেলিং করে মা-কে এমআর থেকে বিরত রাখি৷` তিনি জানান, ‘অনেকেই দ্বিতীয় বা তৃতীয় সন্তান নিতে চান না৷ অনাকাঙ্খিতভাবে গর্ভধারণ হলে তারা তাই এমআর করান৷`

তাঁর মতে, ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এমআর কমে আসবে৷ আমরা তাই এখন এমআর নিরুৎসাহিত করি৷ সঠিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেই, উৎসাহিত করি৷`

এমআর করলে পরে সন্তান হয়? 

মূলত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার নিয়ে আমাদের সমাজে কিছু ভুল ধারণা আছে। বিয়ের পরে মা ও শ্বাশুরী বলেন, পিল খেওনা। পিল খেলে কখনো বাচ্চা হবে না।

ফলে তারা (মেয়েরা) পিল খাওয়া বন্ধ করে দেয়। যার ফলে কনসিভ করে। কনসিভ করার পর তারা ভাবে আমরা এখনো পড়াশুনা করছি। সন্তান নেওয়ার জন্য প্রস্তুত না। ফলে বাচ্চাটা আমরা চাচ্ছি না। তখন তারা এমআর করায় বা অ্যাবরশন করায়। ফলে তার জরায়ুতে একটা চিরস্থায়ী ইনফেকশন হয়।

আরও পড়ুন : ছেলেদের স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ ৬ কারণে: ডা. কাজী ফয়েজা (ভিডিও)

পরবর্তীতে তার প্র্যাগনেন্সির চান্স পুরোপুরি চলে যায়। কিন্তু সে যদি পিলটা খেত তাহলে মাসে মাসে তার পিরিয়ডের সাইকেল ঠিক থাকতো। জরায়ুতে ইনফেকশনের চান্স ছিল না।

একটা অপ্রত্যাশিত গর্ভধারন হতো না। ও যখন সন্তান চাইতো, পিল বন্ধ করে দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে প্র্যাগনেন্সি হয়ে যেতো। জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি মানলে সন্তান হবে না, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা।

আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যদি সে ডিটারমাইন্ড হয় যে, আমি দু`বছর সন্তান নেব না, তাহলে তাকে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মানতে হবে। যদি নবদম্পতি হয়, তাহলে তাদেরকে আমরা `পিল` খেতে বা `কনডম` ব্যবহারে উৎসাহী করে থাকি।

লেখক: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার, এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস। কনসালটেন্ট, ইমপালস হাসপাতাল। ও সহকারী অধ্যাপক, গাইনী, প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন।

শ্রুতি লেখক: অালী অাদনান।

অা অা// এআর

এ সংক্রান্ত আরো খবর

সন্তান নিতে চাই কতবার মেলামেশা জরুরি: ডা. কাজী ফয়েজা (ভিডিও)

ভিডিও


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি