ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জরায়ু না থাকলে কিংবা কেটে ফেললে কী সন্তান হয়: ডা. ফয়েজা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৬, ১৫ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৯, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

বন্ধ্যাত্ব ও সন্তান ধারনে অক্ষমতা এক বিষয় না হলেও অনেকটা কাছাকাছি। আগে আমরা যেটাকে বলতাম ইনফার্টিলিটি, এখন সেটাকে বলি সাফফার্টিলিটি।

আমাদের বই পুস্তকে এখন ইনফার্টিলিটি বলে কিছু নাই। অর্থাৎ একেবারে অসম্ভব বলে কিছু নাই। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাই একটা বাচ্চা কনসিভ করানোর জন্য। যদি এমন হয় মায়ের ডিম্বানু আসছে না তাহলে আমরা সেটার জন্য চেষ্টা করি।

আরও পড়ুন : কখন অন্ত:স্বত্ত্বার সিজার করা জরুরি: ডা. ফয়েজা আক্তার(ভিডিও)

যদি দেখা যায় ডিম্বাশয়টা নাই, সেক্ষেত্রে তার বোনের কাছ থেকে, তার রিলেটিভের কাছ থেকে অথবা অন্য কারো কাছ থেকে (যেটাকে আমরা বলি `ডোনার এগ`) সে ডিম্বাশয়টা নিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করি।

যদি এমন হয় নারীর জরায়ুটাই নেই, জরায়ুটা অপারেশন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে তখন আমরা তার ডিম্বানু ও তার স্বামীর শুক্রানু বাইরে নিষিক্ত করে তার বোনের বা কোনো রিলেটিভের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করে থাকি। ওখানে বাচ্চাটা ধীরে ধীরে পরিণত হলে প্রসব করানো হয়। এভাবে যে শিশু পৃথিবীর আলো দেখে সেটি কিন্তু তাদেরই (যে নারীর ডিম্বানু নেই বা জরায়ু নেই) বাচ্চা।

আরও পড়ুন : প্রথম সন্তান সিজারে হলে কী পরেরগুলোও সিজারে: ডা. ফয়েজা আক্তার

এভাবে অনেকগুলো পদ্ধতি এখন আছে যা আবিষ্কারের ফলে আমরা এখন বলি না যে, এটা বন্ধ্যাত্ব বা কখনো সন্তান হবে না। তবে আমাদের দেশে এখনো ‘ডোনার এগ’ বা ‘ডোনার স্পার্ম’ আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ। তবে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে এভাবে সন্তানের জন্ম দেওয়া হচ্ছে অহরহ।

**লেখক: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার, এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস। কনসালটেন্ট, ইমপালস হাসপাতাল। ও সহকারী অধ্যাপক, গাইনী, প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন।

শ্রুতি লেখক: অালী অাদনান।

অা অা// এআর

ভিডিও


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি