ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কী কিডনী রোগের লক্ষণ : ডা. এম এ সামাদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪৪, ২০ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১১:০৯, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

প্রচণ্ড বমিভাব, ক্ষুধামান্দ্য, চোখ-মুখ ফুলে যাওয়া, শরীর চুলকানো, প্রস্রাব কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি উপসর্গ কিডনি বিকলের প্রাথমিক লক্ষণ।

কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘কিডনি রোগ ব্যাপক ও মারাত্মক কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য’। কিডনি রোগ অনেকটা সমুদ্রে ভাসমান বরফখণ্ডের মতো। এর সামান্য অংশ পানির উপরিভাগে দৃশ্যমান থাকে। আর বেশির ভাগই পানির নিচে অদৃশ্য থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের, দুই কোটির বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। দেশে ঘণ্টায় পাঁচজনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে কিডনি বিকল হয়ে।

শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিডনি অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পানির ভারসাম্য রক্ষা, লোহিত রক্তকণিকা তৈরির জন্য হরমোন উৎপাদন, অস্থিমজ্জাকে শক্ত রাখা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিডনি করে থাকে।

আরো পড়ুন : জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কিডনির ক্ষতি: ডা. হারুন অর রশিদ

কিডনি বিকল হওয়ার উপসর্গ সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট হওয়ার আগে বোঝা যায় না। কিছু লক্ষণ কিডনি রোগের সংকেত বহন করে। যেমন প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীর-মুখ ফোলা ইত্যাদি।

তিন মাসের চিকিৎসায় কিডনি রোগ ভালো না হলে এটিকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হিসেবে ধরা হয়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস (কিডনির বিভিন্ন সমস্যা)—এই তিন রোগের কারণে ৮০ ভাগ লোকের কিডনি নষ্ট হয়। এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে একটু সচেতন হলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আরো পড়ুন :  প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় অ্যান্টেবায়োটিক খাওয়া কী ঠিক: ডা. সালাম

বিশ্ব কিডনি দিবসে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলপর্যায় থেকে শিশুদের কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস করা গেলে কিডনি রোগ ছাড়াও অন্যান্য অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ওজন, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খাবার পরিমিত ও সুষম হতে হবে। দিনে পরিমিত  পানি পান করতে হবে।

ধূমপান ও মাদকদ্রব্য থেকে বিরত থাকা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বেদনানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে প্রস্রাব ও রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করাতে হবে।

পরামর্শদাতা: এম এ সামাদ

 বিভাগীয় প্রধান

কিডনি বিভাগ

বিআরবি হসপিটালস লিমিটেড

(কিডনি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে এই বক্তব্য দেন ডা. হারুন অর রশিদ)

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি