ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়া কী ঠিক হচ্ছে   

প্রকাশিত : ১৭:৫৭, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্যতম পদ্ধতি পিল খাওয়া। আমাদের মাঝে পিল খাওয়া নিয়ে অনেক কুসংস্কার আছে। কেউ কেউ বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করলে পরবর্তীতে সন্তান ধারনে অনেক সমস্যা হয় আসলে তা না। কখনো কখনো হয়তো একটু দেরী হয়। কিন্তু পুরোপুরি সন্তান গর্ভধারণ বন্ধ করে দেয়, বা সন্তান ধারণ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় এমনটা কিন্তু হয়না।   

আমাদের দেশে ‘পিল’ নিয়ে একটা ভুল ধারণা আছে। বিয়ের পরে মা ও শ্বাশুড়ী বলেন, পিল খেওনা। পিল খেলে কখনো বাচ্চা হবে না। ফলে তারা (মেয়েরা) পিল খাওয়া বন্ধ করে দেয়। যার ফলে কনসিভ করে। কনসিভ করার পর তারা ভাবে আমরা এখনো পড়াশুনা করছি। সন্তান নেওয়ার জন্য প্রস্তুত না। ফলে বাচ্চাটা আমরা চাচ্ছি না। তখন তারা এম আর করায় বা অ্যাবরশন করায়। ফলে তার জরায়ুতে একটা চিরস্থায়ী ইনফেকশান হয়।

পরবর্তীতে তার প্র্যাগনেন্সির চান্স পুরোপুরি চলে যায়। কিন্তু ও যদি পিলটা খেত তাহলে মাসে মাসে তার পিরিয়ডের সাইকেল ঠিক থাকতো। জরায়ুতে ইনফেকশনের চান্স ছিলনা। একটা অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ হতো না। ও যখন সন্তান চাইতো, পিল বন্ধ করে দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে প্র্যাগনেন্সি হয়ে যেতো। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মানলে সন্তান হবে না, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যদি সে ডিটারমাইন্ড হয়, যে আমি দু`বছর সন্তান নেব না, তাহলে তাকে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মানতে হবে। যদি নব দম্পতি হয়, তাহলে তাদেরকে আমরা ‘পিল’ খেতে বা ‘কনডম’ ব্যবহারে উৎসাহী করে থাকি।

লেখক: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার, এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস। কনসালটেন্ট, ইমপালস হাসপাতাল। ও সহকারী অধ্যাপক, গাইনী, প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন। 

আআ/এসি   

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি