ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

যক্ষ্মা থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসা জরুরী

প্রকাশিত : ১০:২৪, ২৩ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১২:৪৩, ২৩ মার্চ ২০১৯

দেশে এখনও যক্ষ্মা একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। এতে শুধু যে নিন্ম আয়ের মানুষরাই আক্রান্ত হচ্ছে তা কিন্তু নয়, বরং এই রোগ যে কারোরই হতে পারে। সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসাই যক্ষ্মা থেকে রক্ষা করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ছয় হাজার যক্ষ্মারোগী মারা যাচ্ছে। সারা বিশ্বে এ সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ।

এ বিষয়ে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কন্সালটেশন সেন্টার, লালবাগ, ঢাকা ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন-

বেশি ঝুঁকিতে কারা :

যক্ষ্মা রোগীর কাছাকাছি থাকেন এমন লোকজন- যেমন, পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, নার্স বা সেবা-শুশ্রূষাকারীর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, মাদক সেবন, বার্ধক্য, অপুষ্টি ইত্যাদি ক্ষেত্রে যক্ষ্মার ঝুঁকি থাকে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন- এইডস রোগী, দীর্ঘমেয়াদে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধসেবী মানুষের যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কখন সতর্ক হবেন :

তিন সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি (কাশির সঙ্গে রক্ত যেতেও পারে, নাও যেতে পারে), জ্বর, অরুচি, ওজন কমা, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দিলে অবশ্যই যক্ষ্মা পরীক্ষা করা উচিত। এর বাইরে দীর্ঘদিন ধরে লসিকাগ্রন্থির স্ফীতি, মলত্যাগের অভ্যাসে আকস্মিক পরিবর্তন, কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য, কখনও ডায়রিয়া, বুকে বা পেটে পানি জমা ইত্যাদিও যক্ষ্মার উপসর্গ হিসেবে বিবেচ্য।

প্রতিরোধে করণীয় :

যক্ষ্মা প্রতিরোধে জন্মের পরপর প্রত্যেক শিশুকে বিসিজি টিকা দেয়া। ফুসফুসের যক্ষ্মা ছোঁয়াচে। কেবল স্পর্শে এ রোগ ছড়ায় না। এ রোগ ছড়ায় হাঁচি, কাশি আর কফের মাধ্যমে। তাই রাস্তাঘাটে হাঁচি-কাশির বেগ এলে মুখে রুমাল চাপা দেয়া উচিত। যত্রতত্র কফ ফেলা উচিত নয়।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি