করোনাভাইরাস: হাসপাতালে কখন ভর্তি হবেন?
প্রকাশিত : ১১:০৯, ৭ জুন ২০২০
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশও রয়েছে সংক্রমণের সামনের সারিতে। প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। অনেক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় সুযোগ পাচ্ছেন না। আবার অনেকের ধারণা করোনা পজিটিভ হলেই মনে হয় হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, যেটি সঠিক নয়। চাহিদার তুলনায় হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব নয় বলেই বিপাকে পড়ছেন অনেকেই, কেউবা বিষণ্ণ হয়ে পড়েছেন সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান না পেয়ে৷
তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে করোনা পজেটিভ হলেই সব রোগীর হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। চিকিৎসকের পরামর্শমতে ঘরে বসেও নিতে পারেন চিকিৎসা সেবা৷
খুব মারাত্মক সমস্যা না হলে হাসপাতালে না যাওয়ারই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের৷
করেনা পজিটিভ কোন রোগীর হাসপাতালে ভর্তি জরুরি এবং কাদের জরুরি নয় এসব বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন - ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের কনসালটেন্ট, মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা, রাজীব কুমার সাহা। তথ্য সংগ্রহে ছিলেন - মুছা মল্লিক৷
ডা. সাহা বলেন- ঠান্ডা, কাশি, জ্বর এগুলো করোনা রোগের প্রধান উপসর্গ। সামান্য কাশি, হালকা জ্বর অথবা জ্বর জ্বর ভাব এগুলোর চিকিৎসা অবশ্যই বাসায় নিতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণে আপনি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন৷
কি ধরনের রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন এ সংক্রান্ত বিষয়ে ডা. রাজীব কুমার সাহা জানান-
★ করোনার রোগীদের যদি শ্বাসকষ্ট থাকে। শ্বাসকষ্ট বিভিন্ন কারণে হতে পারে। শ্বাসকষ্টের রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় তাই হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।
★ যে সকল করোনা রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। শরীরে অক্সিজেন মাপার যন্ত্র চিকিৎসকদের কাছে থেকে থাকে।
★ করোনা ভাইরাসের যে সকল রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। অর্থাৎ যে সকল রোগীদের বুকের এক্সরে করে অধিক পরিমাণে নিউমোনিয়া পাওয়া যায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।
★ করোনার যে সকল রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় অথবা কনফিউশানে ভোগেন তাদের ভর্তি হওয়া জরুরি।
★ করোনার উপসর্গের সাথে সাথে যে সকল রোগীদের নিচের সমস্যাগুলো থাকবে তাদের চিকিৎসা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নেয়া প্রয়োজন।
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ।
- অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ।
- কিডনির জটিলতা ।
- লিভারের জটিলতা ।
- হার্টের রোগ।
- গর্ভবতী মহিলার জটিলতা ।
- এজমা, ব্রংকাইটিস ।
- ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের।
ডা. সাহা আরও জানান- আমাদের হাসপাতাল গুলোতে বিছানার সংখ্যা সীমিত। তাই যে সকল রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বেশি প্রয়োজন তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। আর যাদের অল্প সমস্যা তাদের বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে। তাহলেই সকলের জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে৷
এমবি//