ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

এইডস থেকে বাঁচতে কী করবেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৫, ১ ডিসেম্বর ২০২০

এইডস হচ্ছে মরণব্যাধি। মরণব্যাধি এইডসে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। জীবন হারাচ্ছে। সামাজিকতার ভয়ে এই রোগের কথা অনেক মানুষ প্রকাশ করতে চায় না। তাই এর প্রতিরোধই হচ্ছে সর্বোত্তম প্রতিকার।

এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব সম্প্রদায় ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করে আসছে। ইউএন’র তথ্য মতে, বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এইডসে আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতী রোগে মৃত্যুবরণ করেছে। 

নিরাপদ যৌন অভ্যাস তৈরি করে, বহুগামিতা পরিহার করে, ধর্মীয় অনুশাসনে দাম্পত্য জীবনযাপন করে এবং গ্রহণ ও প্রদানকালে সতর্কতা অবলম্বন করাই এইডস থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র উপায়।

এবার জেনে নিন এইডস থেকে কিভাবে বাঁচবেন-

ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ
যারা সাধারণত ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে মাদক গ্রহণ করেন, এ জন্য এইডস ভাইরাস বেশি তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। একই সিরিঞ্জ একাধিক জনে ব্যবহার করলে এইচআইভি হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি আছে। এটা দ্রুত দেহে ছড়িয়ে পড়ে।

যৌন মিলন

এইডস ভাইরাসের অন্যতম কারণ হচ্ছে যৌন মিলন। এইডস থেকে বাঁচতে নিরাপদ যৌন মিলনের বিকল্প নেই। অপরিচিত কারো সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত না হওয়াই এ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়।

এইচআইভি ভাইরাসের রক্ত গ্রহণ

এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রক্ত যদি কেউ শরীরে গ্রহণ করে তবে তারও এইডস হতে পারে। তাই শরীরে রক্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। 

একাধিক যৌনসঙ্গী

একাধিক অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলন এইডস আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এ ধরনের যৌন মিলন থেকে দূরে থাকতে হবে। 

সুচ ব্যবহার

একই সুচ একাধিক ব্যক্তির শরীরে ব্যবহার করলে এইডস হতে পারে। এ জন্য প্রত্যেকবার নতুন সুচ ব্যবহার আবশ্যক।

সংক্রমিত মা থেকে ছড়ায় এইডস

কোনো মায়ের দেহে যাদ এইচআইভি সংক্রমণ হয়ে থাকে তবে তার গর্ভের সন্তানের এইডস হতে পারে। এছাড়া জন্মের পরে বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এই সংক্রমণ ঘটে। 

এইডসের লক্ষণ

এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর শুরুর কয়েকটি সপ্তাহের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাব দেখা দিতে পারে, হালকা জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীরে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।

অন্যান্য লক্ষণগুলো দেখা দেবে যখন ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করাই এইচআইভির মুল বিপদ।

প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকলে কাশি, ডাইরিয়া, লিম্ফ নোড বা চামড়ার নিচে ফুলে যাওয়া গোটার মতো দেখা দেবে, ওজন কমে যাবে।

কোন লক্ষণ দেখা না দিলে এইচআইভি আক্রান্ত নন এটিও ভুল ধারণা। এই জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার পরও একজন ব্যক্তির শরীরে দীর্ঘদিন কোন রকমের লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে।
এএইচ/এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি