ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

অধ্যাপক হলেন ডা. নুজহাত চৌধুরী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৮:১৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক (ভিট্রিও-রেটিনা) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ঠিক আগের দিন আগে তাকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়। 

পদোন্নতি পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগ ঘন স্ট্যাটাস দেন। এতে লেখা ছিল ''শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ঠিক আগের দিন আজ হাতে পেলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (ভিট্রিও-রেটিনা) পদে পদোন্নতির চিঠি। আলহামদুলিল্লাহ্‌। আমার জীবনের সব আনন্দের ভিতরে মিশে থাকে কান্নার একটি অশ্রুধারা। বাবা, তোমার ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর প্রাক্কালে এ আমার সারা জীবনের অর্জনের শ্রদ্ধাঞ্জলি।'' 

উল্লেখ্য, তিনি ১৯৬৯ সালের ২৬ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে ঢাকায়। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকার উদয়ন স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন তিনি। এরপর ভর্তি হন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজে। এইচএসসির পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এমএস (অপথালমোলজি) করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এছাড়া রেটিনার ওপর ভারতের এলভিপিএল থেকে ফেলোশিপ করেছেন ডা. নুজহাত চৌধুরী। কর্মজীবন শুরু করেন বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে। প্রায় নয় বছর কাজ করেছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে। এরপর সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে যোগ দেন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগে। এখানে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছেন।

এছাড়া ডা. নুজহাত চৌধুরী ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং প্রজন্ম একাত্তরের প্রতিষ্ঠাতা সাংস্কৃতিক সম্পাদক।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ অপথালমোলজি সোসাইটির বিনোদন সম্পাদক এবং একাডেমি অব অপথালমোলজির কোষাধ্যক্ষ। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ইংরেজি ও বাংলায় নিয়মিত কলাম লিখেন। একজন ভালো বক্তা ও উপস্থাপক হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিত। টেলিভিশনেও চিকিৎসা বিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও রাজনীতি বিষয়ক টক’শোতে নিয়মিত অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন ডা. নুজহাত চৌধুরী।

ডা. নুজহাত চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা বলা হয়। তিনি সর্বত্রই মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ আর বীরত্বের কথা বলে বেড়ান। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া তার অন্যতম কাজ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাংলার মাটিতে জয়যুক্ত করতেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত। তার লেখালেখি মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ প্রচারের অন্যতম অস্ত্র। তার লেখা ‘এ লড়াই অনিবার্য ছিল’ মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি অনবদ্য বই।
কে আই// 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি