তামাকজাত পণ্যের উপর আরো বেশী করারোপের দাবি
প্রকাশিত : ১৮:২৫, ১০ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৪:০৫, ১১ জুন ২০১৭
তামাক নিয়ন্ত্রণে এবারের বাজেটে তামাকজাত পণ্যের উপর আরো বেশী করারোপের দাবি জানিয়েছে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো। তাদের দাবির সাথে একমত অর্থনীতিবিদরাও। তামাকের কর ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের হিসেব অনুযায়ী, দেশের ৪ কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন, যার মধ্যে ২ কোটি ১৯ লাখ করেন ধূমপানের মাধ্যমে। ২ কোটি ৫৯ লাখ ধোঁয়াবিহিন তামাক ব্যবহার করেন। ধোঁয়াবিহিন তামাক ব্যবহারের হার নারীদের মধ্যে বেশি। বিশেষত বাংলাদেশে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সের প্রায় ৭ শতাংশ কিশোর-কিশোরী তামাক ব্যবহার করে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো মূল্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরী মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে জর্দা-গুলের উপর সম্পূরক শুল্কের হার একই রাখা উদ্বেগজনক । বিড়ির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব খানিকটা ইতিবাচক হলেও ধুমপান কমানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলে দাবি তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর।
তাই তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমাতে একটি মূল্যস্তরের সকল ব্র্যান্ডের উপর সুনির্দিষ্ট কর একই করতে হবে। জর্দা ও গুলের ওজনের উপর ভিত্তি করে উচ্চহারে করারোপসহ নানা প্রস্তাবনা ও সুপারিশ তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
তামাক পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ানোর পস্তাব করলেও বাড়লেও তা মানুষের আয় বাড়ার তুলনায় কম মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তামাক নিয়ন্ত্রণে দাম বাড়ানোর পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানো জরুরী বলে মত দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মানব সক্ষমতা বাড়াতেও তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরী বলে মত দেন এই অর্থনীতিবিদ।