ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৬ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ডায়াবেটিস ॥ ওষুধ ছাড়াই নিরাময়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৩, ১১ আগস্ট ২০২১

Ekushey Television Ltd.

ডায়াবেটিস হচ্ছে বর্তমান সময়ের অন্যতম লাইফস্টাইল ডিজিজ। আমেরিকায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রতি ৯ জনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রতি ৩ জনে একজন প্রি-ডায়াবেটিক। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানদের প্রতি ৩ জনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবে।

বাংলাদেশেও এ রোগের প্রকোপ হু হু করে বাড়ছে। এদেশে প্রতি ১০ জনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। বিশ্বজুড়েই বিস্তৃত হয়েছে এর করাল থাবা। তাই ডায়াবেটিসকে এখন বলা হচ্ছে একবিংশ শতাব্দীর প্লেগ।

ডায়াবেটিস কী?
প্রতিটি বাহনের জন্যে প্রয়োজন জ্বালানি, যেমন : ডিজেল পেট্রোল অকটেন ইত্যাদি। শরীররূপী আমাদের এই বাহনেরও জ্বালানি প্রয়োজন। শরীরের মূল জ্বালানি হচ্ছে গ্লুকোজ। আমাদের শরীরের যত ধরনের কাজ আছে—নড়াচড়া হাঁটা দৌড়ানো চিন্তা করাসহ সকল ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয় গ্লুকোজ। শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণের পর হজমশেষে গ্লুকোজ ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে রক্তে প্রবেশ করে। ইনসুলিনের সাহায্যে গ্লুকোজ রক্ত থেকে কোষের মধ্যে প্রবেশ করে এবং বিপাকক্রিয়ায় অংশ নিয়ে শক্তি তৈরি করে।

কোনো কারণে রক্ত থেকে গ্লুকোজ কোষের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারলে রক্তে গ্লুকোজ জমা হতে থাকে। ফলে রক্তের গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে যায়। একপর্যায়ে এই বাড়তি গ্লুকোজ কিডনি প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয়।

রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ কিন্তু কোষের মধ্যে গ্লুকোজ স্বল্পতা, আর প্রস্রাবে গ্লুকোজের উপস্থিতি—এই অবস্থার নামই ডায়াবেটিস।

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ
বার বার ক্ষুধা লাগা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, অবসন্নতা, ওজন কমে যাওয়া, অপুষ্টি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে ঘটনাচক্রে অর্থাৎ অন্য কোনো রোগের চিকিৎসায় পরীক্ষা-নিরীক্ষাকালে।

ডায়াবেটিস নির্ণয় করার উপায় 
জেনে অবাক হবেন, আমাদের রক্তে যে পরিমাণ সুগার বা চিনি থাকে তার পরিমাণ মাত্র এক চা চামচ। আমরা যদি প্রতিদিন চা/ কফি/ কোমল পানীয়/ মিষ্টান্ন/ অন্য কোনো খাবারের সাথে ২/ ৩/ ৪/ ৫ চা চামচ চিনি খাই, তখন রক্তের সুগার বেড়ে দাঁড়ায় কয়েকগুণÑযা স্থূলতা, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণ।

ডায়াবেটিসের ধরন

১. টাইপ-১ ডায়াবেটিস (১০%)
 এ-ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় থেকে কোনো ইনসুলিন তৈরি হয় না।
 একমাত্র চিকিৎসা ইনসুলিন।
 এটি জীবনাচারের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।
২. টাইপ-২ ডায়াবেটিস (৯০%)
 এ-ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন তৈরি হলেও শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা ইনসুলিন প্রতিরোধিতা সৃষ্টির ফলে শরীর যথাযথভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না।
 ভুল জীবনাচারের কারণে এটি হয়ে থাকে।  

লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই থেকে নেয়া। 
 
আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি