ঢাকা, বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

৫০ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যখাত (ভিডিও)

রাসেল খান

প্রকাশিত : ১২:১৪, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

বছর বছর বাড়ে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ। বাস্তবতা সাক্ষ্য দিচ্ছে, টাকা ছাড়া আমজনতা এখনও পান না কাঙ্ক্ষিত সেবা। তারপরও ৫০ বছরের বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যসেবায়। কমেছে শিশুমৃত্যু, শূণ্যের কোটায় প্রসূতি মৃত্যুর হার। 

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। প্রসূতি আর নবজাতকের মৃত্যু ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা। ছিল ডায়রিয়া, কলেরা, যক্ষ্মা, জলবসন্তসহ আরও আরও কঠিন সব রোগের প্রকোপ।

ছিল না পর্যাপ্ত হাসপাতাল। আবার উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল থাকলেও ছিল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাব। গত ৫০ বছরে সেই নাই-নাই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

সরকারি হাসপাতালের সাথে পাল্লা দিয়ে জেলা-উপজেলায় বেড়েছে বেসরকারি ক্লিনিকের সংখ্যা। সেখানে মেলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা। মাথাপিছু আয় বাড়ায় কেউ আবার গ্রাম ছেড়ে চলে আসেন রাজধানীর নামিদামি হাসপাতালে। কিছু সরকারি হাসপাতালেও মিলছে কাঙ্ক্ষিত সেবা। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা এখন ৬শ’ ৩৯টি। শয্যা আছে ৬৭ হাজার ৭৩৫টি। নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল আর ক্লিনিক আছে ৫ হাজারেরও মতো। যেখানে শয্যা আছে প্রায় ৯৫ হাজার।

সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর বেড়েছে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ। আর বাস্তবতা সাক্ষ্য দিচ্ছে, টাকা ছাড়া আমজনতা এখনো পান না কাঙ্ক্ষিত সেবা। কিছুটা হলেও, গরিবের আস্থা বেড়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকে।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, কাঠামোগতভাবে মানুষকে সেবা দিতে পারছি এটার জন্য সরকারকে বাহবা দিতে হবে। তবে সরকারের আরও উন্নতি করার উচিত ছিল।

ফি বছর কোটি টাকায় সরঞ্জাম কেনে সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু তা জনগণের সেবায় ব্যবহার না হয়ে পরে থাকে হাসপাতালের বারান্দায়। সুস্থ্যভাবে বাঁচতে চাওয়া মানুষ তাই যেনতেনভাবে টাকা যোগাড় করে ছোটেন বেসরকারি হাসপাতালে। যেখানে সরকারের নিবন্ধিত ডাক্তাররাই টাকার বিনিময়ে সেবা বিক্রি করেন।  

ডা. আবু জামিল ফয়সাল আরও বলেন, শহরগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সেবা দেওয়ার দায়িত্ব হলো লোকাল গভর্নমেন্টের। কিন্তু শহর এলাকায় স্বাস্থ্য সেবার দেয়ার মতন তাদের কোন রকমই শক্তি নাই। 

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম গলে বেসরকারি হাসপাতালের ফুলে ফেঁপে ওঠার নেপথ্যে অনিয়ম আর দুর্নীতিকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, যারা টাকা-পয়সা অ্যালোকেট করে তারা অনেক সময় বলেন যে, বেশি বরাদ্দ দিলেও খরচ করতে পারে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খরচ না করার পেছনে রয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। 
 
এতোকিছুর পরও আমজনতার স্বস্তির জায়গা তৈরি হয়েছে এতোদিনে। বিনামূল্যেও সরকারি ওষুধে আস্থা বেড়েছে জনগণের। স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতিও ঘটেছে অল্পস্বল্প। ডিজিটাল দেশে মানুষের সচেতনতা বাড়ায় কমেছে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সংখ্যা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি