সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা, ফ্লু নাকি করোনা? বুঝবেন কীভাবে?
প্রকাশিত : ১৩:১০, ৯ জানুয়ারি ২০২২
দু বছর ধরেই চলছে করোনা পরিস্থিতি। তার মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ যেতে না যেতেই এসে গেছে তৃতীয় ঢেউ। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এখন শীতকাল চলছে। ফলে করোনার সঙ্গে রয়েছে শীতকালের সাধারণ জ্বরের প্রকোপ। সব মিলিয়ে কোনটা শীতকালের সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা, কোনটা ফ্লু আর কোনটা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ, তা সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না বহু মানুষ। অসুখ সঠিকভাবে চেনা না গেলে চিকিৎসাও সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়। তাই জেনে নেওয়া জরুরি, কোন ক্ষেত্রে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়।
ফ্লু-এর ক্ষেত্রে কী কী উপসর্গ দেখা দেয়-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে অনেক ক্ষেত্রেই ফ্লুয়ের সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রধান লক্ষণই হচ্ছে জ্বর। কিংবা খুব ঠাণ্ডা লাগা।
২. জ্বরের সঙ্গে সর্দি, কাশি, এবং গলায় ব্যথাও দেখা দেয়।
৩. নাক থেকে অনবরত পানি পড়ে।
৪. সারা গায়ে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণাও ফ্লুয়ের লক্ষণ।
৫. ক্লান্তি। অলসভাব।
৬. অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়ার সমস্যাও দেখা দেয়।
সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণগুলি কী কী-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার ক্ষেত্রে নাক থেকে পানি পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
২. এর সঙ্গে গলায় ব্যথা থাকে। এমনকি গলা ভেঙেও যেতে পারে।
৩. কাশির সমস্যাও থাকে।
৪. সারা শরীরে হালকা ব্যথা। মাথাতেও হালকা ব্যথা।
৫. হাঁচির সমস্যা দেখা দেয়।
৬. অল্প মাত্রায় জ্বরও থাকতে পারে।
৭. কখনও কখনও শ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
করোনায় আক্রান্ত হলে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনায় আক্রান্ত হলে সবার আগে জ্বরের লক্ষণ দেখা দেবে।
২. জ্বরের সঙ্গে থাকে কাশি, সর্দি, ক্লান্তিভাব।
৩. স্বাদ এবং ঘ্রানশক্তি চলে যাওয়া।
৪. এসবের সঙ্গে গলায় ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা, সারা শরীরে ব্যথা অনুভব হয়।
৫. করোনা আক্রান্ত হলে ডায়রিয়াও হতে পারে।
৬. ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ত্বকে ইনফেকশন, চুলকানি, ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।
৭. শ্বাস নেওয়ার সমস্যা দেখা দেয় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে।
৮. অনেক ক্ষেত্রেই কথা বলার ক্ষমতা চলে যায়।
৯. বুকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠাণ্ডা লাগা, ফ্লু এবং করোনা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই মিল থাকায় বহু মানুষই বুঝতে পারেন না কী হয়েছে। তাই বাড়িতে নিজেরা চিকিৎসা করতে গিয়ে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা লাগা কিংবা জ্বরের সামান্য লক্ষণ দেখা গেলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হবে, তত দ্রুত সুস্থতা সম্ভব।
সূত্র: এবিপি আনন্দ
এসবি