অবসাদ? বিষণ্ণতা? খেয়াল রাখুন হার্টের দিকে
প্রকাশিত : ১১:২৬, ৬ মে ২০২২
মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে বারবার। সম্প্রতি একটি গবেষণার ফলও সেই বিষয়টিকেই আরও স্পষ্ট করল।
সম্প্রতি একটি গবেষণায়, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন একটি চমকপ্রদ তথ্য। রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দনের তারতম্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত মানসিক স্বাস্থ্য।
বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রকাশিত হয়েছে এই নতুন গবেষণাপত্র। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি এবং রক্তচাপের ব্যাপক ওঠানামার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে যা কার্ডিওভাস্কুলার রোগ এবং শরীরের অন্য অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।
কী বলছেন গবেষকরা?
গবেষক ডক্টর রেনলি লিম জানাচ্ছেন, মানসিক অসুস্থতা শরীরের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করে। রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব বিস্তার করে।
ডক্টর রেনলি লিম, 'আমরা উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং প্যানিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর ১২টি গবেষণা করেছি এবং দেখেছি যে, বয়স নির্বিশেষে, মানসিক অসুস্থতার সঙ্গে রক্তচাপের ওঠানামা জড়িত। যাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল নয়, তাদের হৃদস্পন্দন নিয়েও একটা সমস্যা রয়েছে। বাহ্যিক চাপের সাথে খাপ খায় না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, হৃদস্পন্দনের ওঠানামা স্বাভাবিক। মানসিক অবস্থা, পরিবেশ এবং আনুষাঙ্গিক বিষয়ের উপর নির্ভর করে হার্টবিট ওঠানামা করে। এই রকম ওঠানামা হার্ট সুস্থ থাকার লক্ষ্ণণ বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, হার্ট সেই তাল মেলাতে না পারলে তা চিন্তার বিষয়। মানসিক স্বাস্থ্য যাদের ভাল নয় তাদের ক্ষেত্রে রিডিউসড হার্ট রেট ভ্যারিয়েশন দেখা যায়।
রক্তচাপের ক্ষেত্রেও সমস্যা
রাতের বেলা সিস্টোলিক চাপ ১০-২০ শতাংশের মতো কমে যায়, হৃৎপিণ্ডকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য়। গবেষকরা দেখেছেন যে যাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের রক্তচাপ রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কমে না।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যা বিশ্বব্যাপী ১১-১৮ শতাংশ মানুষকে প্রভাবিত করে৷ বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা প্রসার জরুরি। এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন তারা।
সূত্র: এবিপি আনন্দ
এসবি/