ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধে জোরদার অভিযান (ভিডিও)

স্মৃতি মণ্ডল

প্রকাশিত : ১২:৩৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্বাস্থ্যসেবায় ভোগান্তি কমাতে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে জোরদার করা হয়েছে অভিযান। অধিদপ্তর বলছে, সরকারি হাসপাতালের কতটুকু দূরত্বে কতগুলো বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থাকতে পারবে ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশে সেই নির্দেশনা নেই।

স্বাস্থ্যসেবা পেতে বেসরকারি হাসপাতালের ওপর বাড়ছে নির্ভরতা। এ সুযোগকে পুঁজি করে আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়ানস্টিক সেন্টার। 

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো চলে ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন পেতে ডাক্তার, নার্স, উপযোগী পরিবেশ, জনবল ও পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহসহ সাতটি বাধ্যতামূলক শর্ত থাকলেও বেশিরভাগই মানছে না। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন বলেন, “ডিস্ট্রিক পর্যায়ে ডিস্ট্রিক ম্যানেজার, উপজেলা পর্যায়ে অফিসারদের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমাদের কাছে যে রিপোর্টটা আসে তা পর্যালোচনা করে দেখি। যদি সব ক্যারাইটিয়া ফুলফিল করে থাকে তখন মহাপরিচালকের অনুমোদন সাক্ষেপে তারা পেয়ে থাকেন।

গত ২৬ মে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযানে ১ হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের অভিযানে বন্ধ হয় আটশ’রও বেশি প্রতিষ্ঠান। 

ডা. মো. বেলাল হোসেন বলেন, “আমরা হয়তো আজকে বন্ধ করে দিয়েছি, তারা ৬ মাস পর আবার পেছনের দরজা দিয়ে খুলছে। স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করে প্রয়োজন হলে আমরা বিচার বিভাগের সহযোগিতা নেব। ভবিষ্যতে যেন এদেরকে বিচারের আওতায় আনতে পারি সেই সিদ্ধান্ত আলোচনার পর্যায়ে আছে।”

সরকারি এমনকি বিশেষায়িত হাসপাতালের একেবারে কাছেই গজিয়ে উঠেছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালক জানান, সরকারি হাসপাতালের কতটা দূরত্বে কতগুলো প্রতিষ্ঠান থাকতে পারবে সেরকম সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশে নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরও বলেন, “সরকারি একটা প্রতিষ্ঠান থেকে কত দূরত্বে এক মাইল বা দুই মাইল, কত মিটার বা কত গজ দূরত্বে করতে পারবে এই সিদ্ধান্তটা আমাদের কাছে এখন নাই। একটা এলাকায় কত স্কয়ারফিটের মধ্যে কতটা প্রতিষ্ঠান থাকতে পারবে এরকম কোন নির্দেশনা আমাদের কাছে নাই। মহাপরিচালক মহোদয়ের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং এটা নিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজ করছেন।”

অবৈধ প্রতিষ্ঠানের সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালক।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি