শীতে কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়
প্রকাশিত : ১৬:১১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
শীত মানেই রোগের বাড়বাড়ন্ত। এর মধ্যে নানারকম ক্যালোরিযুক্ত খাওয়াদাওয়াও এই সময় খাওয়া হয়। তবে এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চাও জরুরি। নয়তো অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে জমে একাধিক মারাত্মক রোগ ডেকে আনতে পারে। দেখা গিয়েছে, শীতকালের কম চলাফেরার কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়তে থাকে।
দেহের কিছু নির্দিষ্ট কাজকর্ম ঠিকভাবে চালাতে কোলেস্টরল থাকা জরুরি। তবে রক্তে বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকলে তা হৃদরোগের মতো মারাত্মক সমস্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, শীতে শরীরচর্চায় ঘাটতি হলে এই বিপদের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার দ্রুত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে...
> খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করতে কাজ করে হলুদ। হলুদের ভিতরে থাকা উপাদানগুলো রক্তের ধমনী থেকে কোলেস্টেরল অপসারণ করতে কাজ করে। এর জন্য আপনি হলুদের দুধ পান করতে পারেন। অথবা আপনি সকালে গরম পানির সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো খেতে পারেন।
> আমলকির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। আপনি যদি চান কাঁচা খান, বা এক চামচ গুঁড়া হালকা গরম পানির সঙ্গে পান করুন। এটি আপনার হার্টের সমস্যা থেকে রক্ষা করবে।
> আপেল সিডার ভিনেগার কোলেস্টেরলসহ অনেক সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। এর জন্য এক চামচ আপেল ভিনিগার নিয়ে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ভালো করে মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনার কোলেস্টেরলের সমস্যাও সমাধান করবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।
> স্যামন, টুনা, সার্ডিন মাছ ভাল ফ্যাটের উৎস। এই প্রজাতির মাছগুলো আসলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিস্ময়করভাবে কাজ করে।
> দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ অনেক ধরনের ফল রয়েছে যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে আপেল, আঙুর, সাইট্রাস ফল এবং স্ট্রবেরি অন্যতম। এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্যও সমধিক পরিচিত।
> দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তের প্রবাহে কোলেস্টেরল শোষণ কমাতে সাহায্য করে, ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। এই ধরনের খাবারের মধ্যে অন্যতম হল লেগিউম, কিডনি বিন, হোল গ্রেইন, ব্রাসেল স্প্রাউট ইত্যাদি।
> কোলেস্টেরলের রোগীদের ওটস খেতে বলেন চিকিৎসকরা। এটি কলা মিশিয়েও খাওয়া যায়। ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। শিরায় জমার আগেই মলের মাধ্যমে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বের করে দেয়।
> অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নেওয়ার পরিবর্তে বাদাম, বীজজাতীয় খাদ্য, অ্যাভোক্যাডো এবং আরও অনেক কিছুর মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবার বেছে নিতে হবে।
> উদ্ভিজ্জ তেলের তুলনায় অলিভ ওয়েলে ওলেয়িক অ্যাসিড, লিনোলেয়িক অ্যাসিড এবং পামিটিক অ্যাসিডের মতো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হল সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াজাত অলিভ অয়েল।
> বিনস ও রাজমা জাতীয় খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বেশ উপকারী। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ডায়েটে রাখতেই হবে রাজমা।
> আদা, রসুন, হলুদ, ধনে, কালো মরিচ এবং দারচিনির মতো মশলা হার্টের জন্য অত্যন্ত ভালো। রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মেথি বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ। কোলেস্টেরলের রোগীদের রান্নায় এটা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এমএম/