চিকিৎসা খাতে এখনো চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১৯, ৭ এপ্রিল ২০২৩
স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ পর্যাপ্ত না হলেও কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোর গোড়ায় পৌছেছে স্বাস্থ্যসেবা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রান্তিক পর্যায়ে অবকাঠামো গড়ে উঠলেও এখনো চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। আধুনিক, মানসম্মত ও টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি তদারকি জোরদারেরও তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিকের প্রতিবেদন বলছে, জিডিপির বিচারে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫২ দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে সবচে কম বরাদ্দ বাংলাদেশে। জিডিপির এক শতাংশেরও কম।
গবেষণা বলছে, দেশের স্বাস্থ্যসেবার মোট খরচের ৭৩ শতাংশই আসে নাগরিকদের পকেট থেকে। দরিদ্র পরিবারগুলোর আয়ের ৬০ শতাংশই চলে যায় চিকিৎসা খরচ মেটাতে।
এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য : সবার জন্য টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা শক্তিশালী করা।
নগরকেন্দ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূল পর্যন্ত সেবা পৌঁছে দিতে ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে সরকার। প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য ১টি করে প্রায় ১৯ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে।
স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর এই কার্যক্রমকে যুগান্তকারী উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, "নরমাল ডেলিভারি পর্যন্ত হয় এই কমিউনিটি ক্লিনিকে। আমাদের ২৮টি ওষুধ দেওয়া হয় বিনামূল্যে, আসছে দিনে ইনসুলিনও ফ্রি দেওয়ার প্রকৃয়া চলছে।"
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, জনবল নিয়োগ দেয়া ও যন্ত্রপাতির সংকট ঘোচানো না গেলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ভীত শক্ত হবে না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রশিদ ই মাহবুব বলেন, "উপজেলায় গেলেও যে চিকিৎসা পাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা পাবে তা নয়, কারণ লজিস্টিক নেই। এগুলো জায়গা শক্ত না করলে হবেনা। "
এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি তদারকিরও তাগিদ এই বিশেষজ্ঞর। একইসাথে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ও চিকিৎসা ব্যয় কমাতে স্বাস্থ্যবীমা চালুর পরামর্শ দিলেন তিনি।
এসবি/