ডেঙ্গু: ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ’র ৫ সতর্কতা
প্রকাশিত : ১৮:১২, ২৪ জুলাই ২০২৩
বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এতে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় কিছু সতর্কতার কথা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।
প্রথম সতর্কতা হিসাবে ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, জ্বর হলে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। অবহেলা করে ঘরে বসে থাকায় পরিস্থিতি জটিল হবে। সুতরাং জ্বর হলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে ডেঙ্গু হয়েছে কি না।
দ্বিতীয় সতর্কতা হলো, ডেঙ্গু হলে আতঙ্কিত হওয়া যাবেনা। প্রয়োজন না হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। চিকিৎসকের পরামর্শে ঘরেই চিকিৎসা নিতে হবে।
তৃতীয় সতর্কতা, ডেঙ্গু জ্বরের সময় ভীষণ ব্যথা হয় বলে অনেকে বিভিন্ন রকমের ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে এ অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না। তা হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে।
চতুর্থ সতর্কতা, ঘরের ভেতরের মশা নিজেদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাই নিজের ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। ঘরে বা ছাদে রাখা গাছের টব, এসির পানি, ফ্রিজের নিচে তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি জমা পানি রাখা যাবে না। নিজের ঘর ও এর আশপাশের জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। এবং মশারি ছাড়া ঘুমানো যাবেনা।
এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তারিখের আগেই ঋতুস্রাব শুরু হলে কিংবা ঋতুস্রাব নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়াও ডেঙ্গুর উপসর্গ।
পঞ্চম সতর্কতা, যদি রোগীর মধ্যে তীব্র উপসর্গ দেখা দেয় যেমন বমি, পাতলা পায়খানা, রক্তক্ষরণ; তাহলে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। তা ছাড়া আগে থেকেই ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ঘরে বসে ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই ভালো। অন্তঃসত্ত্বা ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ঝুঁকি এড়াতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
এসবি/