ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৬, ৮ মে ২০২৪ | আপডেট: ১২:৫৪, ৯ মে ২০২৪

আজ ৮ই মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। থ্যালাসেমিয়া হল এমন একটি প্রতিরোধযোগ্য বংশগত ও জন্মগত রোগ যা দেহের ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে হয়ে থাকে, এতে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন ব্যহত হয়, ফলে রোগীর দেহে মারাত্মক রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

দিনটি উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে আয়োজিত হয়েছে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতা ও বাহক শনাক্তকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যক্ষ, সরকারি বাংলা কলেজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক মিটুল চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ, সরকারি বাংলা কলেজ।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া পেশেন্টস এন্ড প্যারেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুন নাহার মুকুল। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া পেশেন্টস এন্ড প্যারেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (উই আর নট অ্যালোন -ওয়ানা) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স এন্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভ (আই দেশী) অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা সহযোগী ফারহিন ইসলাম অনুষ্ঠানে মূল সচেতনতামূলক প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন। তিনি জানান দুইজন থ্যালাসেমিয়া বাহক যদি বিয়ে করেন তবে তাদের অনাগত সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ, বাহক হয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ এবং সুস্থ হয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ তাদের যেকোনো বাচ্চাই বাহক হতে পারে যেকোনো বাচ্চাই থ্যালাসেমিয়া রোগী হতে পারে আবার যে কোন বাচ্চাই সুস্থও হতে পারে।

এছাড়া অন্য কোনো উপায়ে থ্যালাসেমিয়া ছড়ায় না। বাংলাদেশে আনুমানিক ১ থেকে ২ কোটি থ্যালাসেমিয়া বাহক রয়েছে। বাহকের সাথে বাহকের বিয়ে বন্ধ করাই থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের উপায়। বাহক শনাক্ত করার জন্য প্রত্যেককে হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফরেসিস নামক টেস্ট করতে হবে। একমাত্র এই টেস্ট দিয়েই জানা সম্ভব কেউ থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা। এটি ছোট্ট একটি রক্ত পরীক্ষা যার খরচ মাত্র এক থেকে দেড় হাজার টাকা। অবশ্যই বিয়ের পূর্বে এবং সম্ভব হলে ছাত্রজীবনেই এই পরীক্ষাটি সবার করা উচিত।

এছাড়া বাহকের সাথে বাহকের বিয়ে হয়ে গেলে থ্যালাসেমিয়া শিশুর জন্ম প্রতিরোধ করার জন্য গর্ভাবস্থায় গর্ভের ১১ থেকে ১৩ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভস্থ ভ্রূণ পরীক্ষা করেও জানা সম্ভব গর্ভের সন্তানের থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কিনা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক সালমা সাদিয়া।

তিনি বলেন, বিয়ের আগে বাহক নির্ণয়ের পরীক্ষাকে বলে প্রিম্যারিটাল ডায়াগনোসিস এবং গর্ভস্থ ভ্রূণ পরীক্ষাকে বলে প্রিনেটাল ডায়াগনোসিস। প্রিম্যারিটাল ডায়াগনোসিস থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে সহজ, সস্তা এবং কার্যকরী উপায়। অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে আইদেশী এর আয়োজনে, ওয়ানার তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, মিরপুর বাঙলা কলেজ ইউনিটের সার্বিক সহযোগিতায় পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে বাহক শনাক্তকরণ পরীক্ষা করানো হয়।

কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি