কোষ্ঠ্যকাঠিন্য ও বাত দূর করে অপরাজিতা গাছ
প্রকাশিত : ১৯:৩১, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১১:০৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭
অপরাজিতার গাছের অনেক গুন রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা অনেকেই এই গাছের গুনাবলি জানি না। এই গাছের গুনাবলি তুলে ধরেছেন ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়ার’ বইয়ে। একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
চক্ষুরোগ-চক্ষুরোগে ঠাণ্ডা লেগে চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকলে কিংবা চোখে জ্বালা–যন্ত্রণা করলে, নীল অপরাজিতা পাতা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে সুফল পাওয়া যায়।
বাতে- যে কোন ধরনের বাতে ৫০০ মিলিগ্রাম নীল অপরাজিতার শেকর পানি দিয়ে বেটে সকালে একবার খেলে সুফল পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যে- শ্বেত অথবা নীল অপরাজিতার বীচি গুঁড়ো করে দুই গ্রাম পরিমান নিয়ে তাতে সামান্য শুকনো চুনি মিশিয়ে গরম দুধ বা পানি দিয়ে খেতে হবে। রাতে খাবার পর ঘুমানো আগে খাওয়া দরকার।
শুক্র রোগে- একগ্রাম নীল অপরাজিতার মূল, এক চামচ ঘি, মধু কিংবা চিনির সঙ্গে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
সুখ-প্রসবে- সহজ প্রসবের সময় এক গ্রাম সাদা অপরাজিতারর্ শেকর বেটে খাওয়াতে হবে।
মূত্রকৃচ্ছ রোগে- অপরাজিতার মূলের ছাল পানিতে সেদ্ধ করে দুচামচ খেলে পরিমাণ মত প্রস্রাব হয়।
সতর্কতা- এই গাছের সবকিছুই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়। তবে মূল এবং বীচি বেশি পরিমান খেলে শরীরে বিষের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কাজেই এর পরিমান খুবই সাবধানে প্রয়োগ করা উচিত।
চাষাবাদ- শুটির মধ্যে বীজ থাক। কোষের মধ্যে পাঁচ-ছয়টি বীজ পাওয়া যায়। আকারে বীজ খুবই ছোট, অকেটা মেথির মত দেখায়। বর্ষার সময এর বীজ থেকে সহজে চারা তৈরি করা যায়। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি জেরাতেই অপরাজিতা গাছ দেখতে পাওয়া যায়।
পরিচিতি- অপরাজিতা বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ। ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। সারা বছরই ফোটে। প্রতিটি পাতায় দুই বা তিন জোড়া গোলাকার পত্রক থাকে। গাঢ় নীল, ফিকে নীল, বেগুনী প্রভৃতি নানা ধরনের অপরাজিতা রয়েছে। এ ছারাও একক ফুল এবং জোড়া ফুল ও দেখতে পাওয়া যায়। ফুল অনেকটা বক ফুলের মত দেখায়। ফুলে কোন গন্ধ নেই।
বিস্তৃতি- সাংলাদেশের সর্বত্রই।
এসএইচ/