ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে জন্ম নিতে পারে অস্বাভাবিক শিশু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৫, ৫ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১২:৩৫, ৭ এপ্রিল ২০১৮

ডা. লতিফা আক্তার

ডা. লতিফা আক্তার

সাধারণত ডায়াবেটিস বলতে আমরা বুঝি, রক্তে শর্করার আধিক্য। এ রোগ হলে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হয়। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীকে সন্তানধারণের পুরো সময়জুড়েই বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।

যারা আগে থেকেই ডায়াবেটিস রোগী অন্ত:স্বত্তা অবস্থায় তাদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। গর্ভাবস্থা থেকে সন্তান প্রসব পর‌্যন্ত একজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকলে ভালো হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় অন্ত:স্বত্ত্বা মায়েদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অস্বাভাবিক নবজাতকের জন্ম হতে পারে। এমনটাই মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. লতিফা আক্তার

সম্প্রতি একুশে টিভি অনলাইনকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি অন্ত:স্বত্ত্বাদের ডায়াবেটিস ঝুঁকি, নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় সম্পর্কে বলেন। সাক্ষাতকার নিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইনের প্রতিবেদক তবিবুর রহমান। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব আজ প্রকাশিত হলো-

একুশে টিভি অনলাইন : গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় কি?

ডা.লতিফা আক্তার: চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়াবেটিস আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং পরে গর্ভধারণ করতে হবে। যদি ডায়াবেটিসের পরিমাণ ৬-এর নিচে হয় তবে বাচ্চা নিতে পারবেন। যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকে তবে শিশু অস্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে শিশু ও মা উভয়ের ক্ষতি হবে। শিশু স্বাভাবিকের থেকে একটু বড় হয়ে জন্ম নিতে পারে। জন্মের পর শিশুর শরীরে শর্করার পরিমাণ বেশি হতে পারে। তাই এসব সমস্যা রোধে প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আমরা আগে রোগীর উপরে নির্ভর করে ব্যবস্থা করা যাতে পারে। যদি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে যদি ওজন কমানো না যায়। তাহলে ইনসুলিন ব্যবহার এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে বলি।

সাধারণত ডায়াবেটিস হলো আমরা মুখে ওষুধ দিয়ে থাকি। গর্ভধারণ অবস্থায় আমরা এই ওষুধ ব্যবহার করতে দিই না। সরাসরি ইনসুলিনে চলে যাই।

একুশে টিভি অনলাইন: গর্ভাবস্থায় যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের জন্য বাড়তি সর্তকতা কি হতে পারে?

ডা.লতিফা আক্তার: আলাদা কেয়ার তো অবশ্যই রাখতে হবে। তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই ডায়েট মেনে চলতে হবে। সব সময় খাবার ধীরে হজম হয়। যে কারণে যেসব কারণে শর্করা বাড়ায় সেসব খাবার খাওয়ানো উচিত। মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। আমিষ ও পোট্রিন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই হাটাঁচলা করতে হবে।

একুশে টিভি অনলাইন: ডায়াবেটিস রোগীকে নিয়মিত আলাদা চেকআপ করার দরকার আছে কি না?

ডা.লতিফা আক্তার: অবশ্যই এদের জন্য আলাদ টেকআপ করতে হবে। গর্ভকালীয় মাকে যেভাবে চেকআপ করানো হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত মাকে একটু আগে থেকেই চেকআপ করানো ভালো। ডেলিভারির আগে মাসে প্রতি সপ্তাহে চেকআপ করাতে হবে। স্বাভাবিক গর্ভবতী নারীকে ডেলিভারির ডে পার হলেও অপেক্ষা করতে পারি কিন্তু। ডায়াবেটিস আক্রান্ত মাকে অবশ্যই ডেলিভারির ডে’র মধ্যে বাচ্চা প্রসবের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে যদি বাধা না আসে তাহলে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রসব ব্যাথা সৃষ্টি করতে হবে। যদি তার পরেও ব্যথা না হয় সেক্ষেত্রে আমরা স্বাভাবিক ডেলিভারি করতে পারি না। সেক্ষেত্রে অন্য ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

টিআর / এআর

এ সংক্রান্ত আরও খবর

অন্ত:সত্ত্বার ডায়াবেটিস লক্ষণ ও চিকিৎসা

বন্ধ্যাত্বের যত কারণ ও এর চিকিৎসা


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি