ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ধূমপানে বাড়ে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি: গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৬, ৩০ জুন ২০১৮

এই সময়ের অনেক তরুণের কাছেই ধূমপান স্মার্টনেসের প্রতীক। অধিকাংশের কাছে এটি মানসিক চাপ কাটানোর উপায়। বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, তরুণ প্রজন্মের বেশিরভাগই প্রথমত ঝোঁকের বশে বা শখে ধূমপানে আকৃষ্ট হন।

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, ধূমপায়ী পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। ধূমপানের ফলে বেড়ে যায় বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি। শুধু পুরুষদেরই নয়, মেয়েদেরও ঊর্বরতা কমায় ধূমপান, মেন্সট্রুয়াল সাইকল অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে। ঋতুস্রাবের (মেনোপজ) সময় এগিয়ে আসে। সার্ভিক্স-সহ অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

সিগারেটের ধোঁয়া সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্বাসনালী আর ফুসফুস। সর্দি, হাঁচি, কাশির পাশাপাশি বারংবার শ্বাসনালীর সংক্রমণ হয়। ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।

নাক, কান, গলা, মুখের মধ্যে ও জিভের ক্যানসারের সঙ্গে সঙ্গে গলা, স্বরযন্ত্র, ফুঁসফুঁস ইত্যাদি বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসারের অন্যতম কারণ তামাক।

ধূমপান বা তামাক সেবনের ফলে গন্ধ বোধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, রক্তচাপ বৃদ্ধি ও হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়। এছাড়া শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ধূমপান বা তামাক সেবনের ফলে রক্তের জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে।

শুধু তাই নয়, চোখের নানা সমস্যা-সহ অন্ধত্বের আশঙ্কা বাড়ে ধূমপান বা তামাক সেবনের ফলে। চিকিৎসকরা বলছেন বন্ধ্যাত্ব থেকে শুরু করে জটিল সব রোগ থেকে বাঁচতে ধূমপান ছাড়ার কোনো বিকল্প নেই।

সূত্র : জিনিউজ।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি