ঢাকা, মঙ্গলবার   ১১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৭, ১৯ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে। এডিস নামক এক ধরনের মশার কামড়ে এ রোগ হয়। মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও গলাব্যথা বা ডায়রিয়ার মতো পরিচিত কিছু ভিন্নধর্মী লক্ষণ নিয়ে ডেঙ্গু জ্বর দেখা দিচ্ছে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথম দিন থেকে প্রচণ্ড জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে ব্যথা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে র‍্যাশ বা দানা দেখা দেওয়া। কারও কারও বমি হতে দেখা যাচ্ছে।

তবে মনে রাখবেন, এ সময়ের জ্বর মানেই কেবল ডেঙ্গু নয়। কাছাকাছি ধরনের লক্ষণ নিয়ে অন্যান্য জ্বরও দেখা দিচ্ছে। অন্যান্য ভাইরাস জ্বর ছাড়াও পানিবাহিত টাইফয়েড জ্বরও হচ্ছে। তাই জ্বর হলে লক্ষণ-উপসর্গ মিলিয়ে ও প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই চিকিৎসা নেওয়া ভালো।

ডেঙ্গু জ্বর হলে ভয়ের কিছু নেই। এ জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। এমনকি কোনো চিকিৎসা না করালেও। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে। যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা না হয়। ডেঙ্গু জ্বরটা আসলে গোলমেলে রোগ, সাধারণত লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জ্বর এলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, শরীর স্পঞ্জ করুন, বিশ্রাম নিন এবং মাথায় পানি দিন। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। আর কোনো ওষুধের দরকার নেই। তবে জ্বর প্রথম দিন থেকেই জটিল আকার মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নয়তো বাড়িতে তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। তিন দিনে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। মনে রাখবেন, নিজে দোকান থেকে কিনে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাছাড়া একেকজনের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি