ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ধূমপান ত্যাগে সহায়ক ই-সিগারেট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩১, ১৮ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৩, ১৯ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ধূমপান ত্যাগে আর তার অভ্যাস থেকে পরিত্রাণে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে খোদ ব্রিটিশ সংসদের সদস্যরা। একই সাথে ই-সিগারেটের ওপর বিদ্যমান কঠিন শর্ত উঠিয়ে নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ই-সিগারেট ব্যবহার করা অর্থ্যাত ভ্যাপিং করা সাধারণ সিগারেটের থেকে অনেক কম ক্ষতিকর। তাই ই-সিগারেটকে আরও সহজলভ্য করার মত দেওয়া হয় প্রতিবেদনে। তবে সেটি শুধু চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দিয়েই ব্যবহার করা যাবে; এমন শর্ত জুড়ে দিতে চান ব্রিটিশ সাংসদেরা। তাদের ধারণা, এর ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সহজ হবে।

এছাড়াও বাস এবং ট্রেনের মতো জনবহুল জায়গাগুলোতে ভ্যাপিং এর অনুমতি দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা করারও সুপারিশ করা হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির ঐ প্রতিবেদনে।

ইংল্যান্ডের গণস্বাস্থ্য বিভাগ এক জানায়, ভ্যাপিং এর মাধ্যমে যে তরুণেরা ধূমপানে আসক্ত হয়; এমন বক্তব্যের কোন প্রমাণ নেই।

সাম্প্রতিককালে ইংল্যান্ডে ভ্যাপিং বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে প্রায় তিন মিলিয়ন নাগরিক ই-সিগারেট ব্যবহার করেন। এদের মধ্যে অন্তত ৪ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ ধূমপান ত্যাগের জন্য ভ্যাপিং করেন। তবে ভ্যাপিং এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে কোন ধরণের জটিলতা অথবা শারীরিক সমস্যা হবে না; এমন কিছু জোর দিয়ে বলা হয়নি প্রতিবেদনে। কিন্তু এটিকে ধূমপানের চেয়ে ‘কম ক্ষতিকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান নরমান ল্যাম্ব বলেন, “বর্তমান সময়ের নীতি ও আইনগুলোতে ভ্যাপিং এর উপকারিতা সেভাবে অনুধাবন করা হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহণ এবং পাবলিক প্লেসগুলোতে সিগারেট আর ই-সিগারেটকে আলাদা করে দেখা উচিত”।

তিনি আরও বলেন, “ঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে পুরো দেশে তামাকবিরোধী সমাজ গড়ে তুলতে মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে ই-সিগারেট”।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি