ডেঙ্গু জ্বরের ৬টি লক্ষণ
প্রকাশিত : ২২:১৪, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। জ্বর যে কোনো সময় আসতে পারে। ভাইরাসজনিত কারণেই এ জ্বর হয়ে থাকে। তবে সব জ্বরই যে ডেঙ্গু হবে তা কিন্তু নয়। জ্বরের প্রকোপ বেশি মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে হবে।
যদি ডেঙ্গু জ্বর হয় প্রাথমিক পরিচর্চা হিসেবে দ্রুত জ্বর কমানো জরুরি। জ্বর কমানোর জন্য মাথায় পানি দিতে হবে এবং ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর বারবার মুছে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে কোনো অবস্থাতেই রোগীকে এসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল ও স্বাভাবিক খাবার খেতে দিতে হবে, বিশেষ করে ফলের রস ও স্যালাইন খেতে দিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর কী?
ডেঙ্গু জ্বর হল ভাইরাসজনিত এক ধরনের তীব্র জ্বর। এ জ্বরের বাহক এডিস মশা। এডিস মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে থাকে। জীবাণু বহনকারী এডিস মশা কাউকে কামড়ালেই ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যার সংখ্যা ৫২৬ জন। গত ১০ বছরের মধ্যে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসুন জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বরের ৬টি লক্ষণ-
উচ্চমাত্রায় জ্বর
ডেঙ্গু হলে আপনার সর্বোচ্চ ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর উঠতে পারে। আর এ জ্বরটি থাকবে চার থেকে সাতদিন পর্যন্ত। যদি আপনার জ্বর হয়ে থাকে এবং চারদিনের বেশি হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়িই ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
শরীর ব্যথা
শরীরে প্রচন্ড রকমের ব্যথা তৈরি হয়। হাড় ভাঙলে যেরকম তীব্র ব্যথার অনুভূতি হয় মানুষের, ডেঙ্গু হলেও ঠিক এইধরনের হাড়ভাঙার মতো ব্যথা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে শরীরের জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হয়, এর পাশাপাশি ব্যথা হয় পেশীতেও। এমনকি ডেঙ্গু সেরে গেলেও এই ব্যথাগুলো অনেকদিন শরীরে থাকে।
প্রচণ্ড মাথা ব্যথা
কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তার প্রচণ্ড মাথা ব্যথার সাথে সাথে চোখের ভেতরের দিকে ব্যথা করে। মাথাব্যথা ডেঙ্গু রোগের অন্যতম পূর্বলক্ষণ।
স্কিন র্যাশ
জ্বর হওয়ার এক থেকে দুইদিনের সময় সারা শরীরে লালচে র্যাশ দেখা যায়। যাকে বলা হয় স্কিন র্যাশ, অনেকটা অ্যালার্জি বা ঘামাচির মতো। এসময় আক্রান্তের চোখ হলদেটে এবং ত্বক বেশ শুষ্ক দেখায়।
বমি বমি ভাব
কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তার বমি বমি ভাব হয়, মাঝে মাঝে বমি হতে পারে। রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে। তার খাবারের রুচি কমে যায়।
রক্তকণিকা
ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকলেই খুব তাড়াতাড়ি করে নেবেন প্লেটলেট টেস্ট। এসময় প্লেটলেট কিংবা রক্তকণিকার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। প্লেটলেট কাউন্ট যদি ২০ হাজার এর নিচে হয় তাহলে রোগীর রক্তজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।
এসি