পাইলস হলে যেসব বিষয়ে সকর্ত থাকবেন : ডা. আসিফ আলমাস হক
প্রকাশিত : ১৭:৩৮, ১২ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:১৫, ১২ নভেম্বর ২০১৮
ডা. আসিফ আলমাস হক
পাইলস বা অর্শ হলো মলদ্বারের এক ধরনের জটিল রোগ। যেখানে রক্তনালিগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে। এটি অস্বস্তিকর এবং অসহনীয় একটি সমস্যা।
শিশুসহ যেকোনো বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এটি মলদ্বারের ভেতরে কিংবা বাইরেও হতে পারে।
পাইলস হলে চুলকানি বা রক্তক্ষরণ হয়। লজ্জায় অনেকে বিষয়টিকে দীর্ঘদিন গোপন করে রাখে। ফলে অনেকেই ভুল চিকিৎসার শিকার হন যা স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করে।
পাইলস থেকে বাঁচতে প্রথমে চেষ্টা করতে হবে মল যেনো শক্ত না হয়। যে কারণে খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
প্রচুর পরিমান সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। বেশি বেশি পানি খেতে হবে।
আঁশ যুক্ত ফলমুল খেকে হবে। ইসুবগুলের ভূসি খেতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কোনো খাবার খেলে যেল মল শক্ত হয়ে না যায়। যেমন গরুর মাংস। লাল মাংস খেলে মল শক্ত হয়ে যায়।
এছাড়া প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করবেন। যারা সারাক্ষণ বসে অফিস করে তাদের এমন সমস্যা দেখা দেয়। মলত্যাগের অভ্যাস যেন প্রতিদিন থাকে।
কোনো ধরনের অনিয়ম দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আমরা অনেক রোগী পেয়ে থাকি যারা এসব ভুল চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমধান না পেয়ে আমাদের কাছে আসে। তখন চিকিৎসাসেবা দেওয়াটা আমাদের অনেকটাই জটিল হয়ে পড়ে।
অনেকেই কম টাকায় চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য হয়তো তাদের কাছে যায়। এবিষয় আমার পরামর্শ হলো তারা যদি কোনো খাবার ওষুধ দেয় তাহলে তা খাবেন। যদি মলদ্বারে কিছু লাগাতে বলে তাহলে লাগবেন না।
অনেক সময় তারা মলদ্বারে এডিস জাতীয় কিছু দিতে বলে এটা দিলে মলদ্বার পুড়ে যেতে পারে। তখন মলদ্বার কেটে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। তখন সেই রোগীকে পেটের মধ্যে ব্যাগ লাগিয়ে দিতে হয় সারা জীবনের জন্য।
পরামর্শদাতা: বারডেম হাসতাপালের রেজিস্ট্রার।
শ্রুতিলেখক: তবিবুর রহমান।
/ এআর /