কৃত্রিম রং মেশানো খাবার ডেকে আনতে পারে বিপদ
প্রকাশিত : ১৯:৩২, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৩৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮
ইসরাত জাহান
সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর জীবনের জন্য দরকার খাবার। তবে শুধু খাবার খেলেই হয়না, বরং সেই খাবার কতোটা পুষ্টিকর তা নিয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই। পুষ্টিকর খাবার যেমন অমাদের সুস্থতা নিশ্চিত করে তেমনি অপুষ্টিকর খাবার বা ক্ষতিকর খাবার (নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার) আমাদের শরীরে বিষের মতো কাজ করে। যা আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগের জন্ম দেয়। অনেক সময় দেরীতে হলেও (স্লো পয়জনিং) তা আমাদের জন্য ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
আমরা অনেক সময় না জেনেই খাবারের সৌন্দর্য্যের জন্য এমন অনেক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে থাকি। খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্রেতাদের আকর্ষণ করার লোভে এমন কাজটি করে থাকে। তেমন একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য হলো কৃত্রিম রং। যা মিষ্টি, জেলি, চকলেট, আইসক্রিম, কেক, চিপস, পেস্ট্রি, কোমল পানীয় ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। আমরা আজকে কৃত্রিম রংয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে আলাপ করবো।
আন্তর্জাতিক খাদ্য আইনে বলা আছে খাবারে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফুড কালার বা খাবারের রং ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু যেহেতু ফুড কালার অনেক ব্যায়বহুল তাই বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খুব কমদামি কাপড়ে ব্যাবহৃত রং খাবারে মিশিয়ে থাকে।
একটু খেয়াল করলে দেখবেন, যখন আপনি এমন কৃত্রিম রং মেশানো খাবার খাবেন, গলা থেকে বুক পর্যন্ত একধরনের জ্বালা হবে। এ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হবে। যখন এটা হজম প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন বমি বমি লাগবে, মেজাজ খিটখিটে হবে, পেট ভারী ভারী লাগবে। এমনকী মাথা ব্যথাও হতে পারে। এসব হচ্ছে তাৎক্ষণিক সমস্যা।
তবে দীর্ঘমেয়াদী যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় তারমধ্যে অন্যতম হলো কিডনি`র সমস্যা। চামড়ায় নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। কৃত্রিম রং, ডালডা ও অতিরিক্ত তেল ব্যবহারে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া (ওবেসিটি) ঝুঁকি থাকে। উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হরমোন তার ভারসাম্য হারাতে পারে।
অর্থাৎ কৃত্রিম রং কোন ভাবেই স্বাস্থ্যের সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই খাবারে কৃত্রিম রং ব্যাবহার থেকে বিরত থাকার বিকল্প নেই। তাহলেই স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। আমরা পাব সুন্দর জীবন।
লেখক: ইসরাত জাহান, ডায়েটেশিয়ান ও নিউট্রিশিয়ানিস্ট, বিআরবি হাসপাতাল, ঢাকা।
আআ/এসি