ঢাকা, বুধবার   ০৫ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শীত হাঁপানির সমস্যা থেকে বাঁচতে করণীয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

শীত পড়তেই হাঁপানির সমস্যা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে! চিকিত্সকদের মতে, শুধু শীতকালেই নয়, আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বছরের যে কোনও সময়েই হাঁপানি সমস্যা বাড়তে পারে। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। তবে ইদানীং মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে অনেকের মধ্যেই বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা।

আমাদের ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী সরু সরু অজস্র নালী পথ রয়েছে। ধূলা, অ্যালার্জি বা অন্যান্য কারণে শ্বাসনালীর পেশি ফুলে ওঠে এবং অক্সিজেন বহনকারী এই নালী পথগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। আর এর থেকেই নিঃশ্বাসের কষ্টসহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়।

ঠিক কী কী কারণে হাঁপানি হয়?

১. হাঁপানির অন্যতম কারণ হল অ্যালার্জি। ধূলা, ধোঁয়া, পশু-পাখির লোম, তুলার আঁশ, রান্নাঘর বা বিছানার ধূলা, বাতাসে ভেসে বেড়ানো ফুলের রেণু ইত্যাদি শ্বাসনালীতে সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলো ‘অ্যাজমা/অ্যাস্থমা অ্যাটাক’-এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও, রাসায়ানিকের উগ্র গন্ধ, গ্যাস হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

২. কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যাজমা/অ্যাস্থমা অ্যাটাক হতে পারে।

৩. ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ- তা হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সন্তানসম্ভবা কোনও নারী ধূমপান করলে তার গর্ভজাত শিশুর হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৪. ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি-কাশি হাঁপানির প্রবণতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

৫. পরিবারে কারও হাঁপানির সমস্যা থাকলে এই অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

৬. অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অবসাদ হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

৭. অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া, কনকনে ঠাণ্ডা পানি বা ঠাণ্ডা পানীয় খাবার অভ্যাস হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

হাঁপানির সমস্যা থেকে বাঁচতে কী করবেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁপানি হল ডায়বিটিস বা হাই ব্লাডপ্রেশারের মতো একটি অসুখ, যা সম্পূর্ণ রূপে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে আর সঠিক চিকিৎসায় এই রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেমন-

১. ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুন।

২. বাড়িতে পোষ্য থাকলে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। নাকে-মুখে কাপড় বাঁধুন।

৩. ঘরে আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা রাখুন।

৪. বালিশ, কম্বল রোদে দিন।

৫. নিয়মিত কাচা, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরুন, বিছানায় চাদর নিয়মিত বদলে ফেলুন।

চিকিত্সকের পরামর্শ মতো নিয়ম মেনে চলতে পারলে হাঁপানি বা অ্যাস্থমা দূরে সরিয়ে রেখে সুস্থভাবে জীবনযাপন সম্ভব।

সূত্র: জিনিউজ

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি