২৭ হাজার টাকার বালিশ কেনা প্রসঙ্গে যা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৫:২৩, ২ অক্টোবর ২০১৯
চট্টগ্রামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) ৭৫০ টাকার বালিশ ক্রয়ে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭২০ টাকা। আর বালিশের কভারের দাম ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এই ডিপিপিতে ভুল হয়েছে। যারা এ ডিপিপির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুপুরে বিএসএমএমইউ এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষনা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে আরো গবেষণার প্রয়োজন, স্বাস্থ্যখাতে গবেষণার জন্য বাজেটে বেশি বরাদ্দ নেই। আগামী বাজেটে গবেষণার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযান শুরু হয়েছে, তবে উন্নয়নের সাথে সাথে মানসিক,নৈতিকতার উন্নতি না হলে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। সমাজে পরিবর্তন আনতে হলে নিজেকে দিয়েই তা শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, একটি সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্কের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা। যার সম্ভাব্য বাজার মূল্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা। এভাবে ১২ ধরনের সরঞ্জামের বাজার দরের সঙ্গে একটি তুলনামূলক ছক তৈরি করে সম্প্রতি প্রস্তাবটি ফেরত পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। শুধু তাই নয়, সম্ভাব্যতা যাচাই করা বাধ্যতামূলক হলেও এ প্রকল্প তৈরিতে সেটি অনুসরণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশন লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়কে বলেছে, একটি বিভাগের ১২টি আইটেমের প্রস্তাবিত মূল্যের সঙ্গে আনুমানিক বাজার মূল্যের পার্থক্য ব্যাপক।
এ প্রকল্পের আওতায় কেনার জন্য প্রস্তাবিত সব যন্ত্রপাতি বা চিকিৎসা সরঞ্জাম পর্যালোচনা করলে দামের অসামঞ্জস্য আরও অনেক বেশি হবে। এ ধরনের ব্যয় প্রাক্কলন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য যারা এ প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরির সঙ্গে যুক্ত তাদের অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সুতরাং ভুল বলে সংশ্লিষ্টদের দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এদের খুঁজে বের করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কারণ ‘অঙ্কুরেই দুর্নীতির বীজ’বপন করছেন তারা। এই দুর্নীতিবাজদের মূল উৎপাটন করা না গেলে প্রশাসনে দুর্নীতি আরও বিস্তৃত হবে।
টিআর/