যেসব উপসর্গে বুঝবেন ডায়াবেটিস আসন্ন
প্রকাশিত : ১২:৫৬, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’র তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে ৪২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন বলছে বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ এবং বছরে প্রায় ৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় ডায়বেটিসের কারণে। অন্য এক রিপোর্টে ‘হু’ বলছে, প্রতিবছর এইচআইভি বা ক্যান্সারের চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ডায়াবেটিসে।
ডায়াবেটিস দু’প্রকার। টাইপ১ ডায়াবেটিস যা শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতির ফলে হয়ে থাকে। আর টাইপ২ ডায়াবেটিস যা শরীরে ইনসুলিনের অকার্যকারিতার কারণে হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা শারীরিক অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। ওষুধ, শরীরচর্চা এবং নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে পুরোপুরি নিরাময় হয় না।
এই রোগ সম্পর্কে সময় মতো সচেতন হতে পারলে দীর্ঘদিন স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। তাই ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। এবার চিনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসের প্রাথমিক কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে...
* বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে চাপ সৃষ্টি হয়। তখন কিডনি চেষ্টা করে শরীর থেকে সুগার বের করে দেওয়ার জন্য। সে কারণেই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।
* খুব অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ। সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। তখন ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দুর্বল হয়।
* সুগার বের করার সময় কিডনি শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নিতে থাকে। এতে শরীরে পানির ঘাটতি হতে থাকে, যার ফলে ঘন ঘন পানির পিপাসা লাগে।
* হাত ও পায়ের আঙুল বা পুরো হাত অবশ বোধ করা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ের চলে গেলে এই লক্ষণ প্রকাশ পায়।
* শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তির উপর। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়।
* হুট করে অনেক বেশি ওজন কমতে থাকা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
* শরীরের কোন অংশ কেটে বা ছিড়ে গেলে তা শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগার বিষয়টিও শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।
উল্লেখিত লক্ষণগুলোর কোন একটি নিজের মধ্যে লক্ষ্য করলে অবহেলা না করে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত। কেননা প্রথমে যদি ডায়াবেটিস চিহ্নিত করা যায়, তবে সচেতনভাবে চলতে পারলে অনেক ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
এএইচ/