সচেতনতাই ক্যান্সার চিকিৎসার প্রথম ধাপ
প্রকাশিত : ১০:০৮, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
মহামূল্যবান শরীর সম্পর্কে আমরা অনেকেই অসচেতন। তাই ভুল জীবন যাপন, ভুল খাবার-দাবারে অভ্যস্ত এবং নানা নেশায় জড়িয়ে নিজেই ডেকে আনি মরণঘাতি নানা রোগ। ক্যান্সার হলো এর মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই বেড়ে যাচ্ছে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা। এই রোগের চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। তবে সচেতনভাবে জীবন যাপন করলে এসব জটিল রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার ফুসফুস, পাকস্থলি, মলাশয়, এমনকি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়াতে পারে। অনেকের ধারণা ফুসফুসের ক্যান্সার মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন এশিয়ান ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর এবং কনসালট্যান্ট সার্জিকাল অনকোলজিস্ট ডা. রমাকান্ত দেশপান্ডে।
ডা. রমাকান্ত দেশপান্ডে বলেন, পুরোটাই নির্ভর করে ক্যান্সার কোন পর্যায়ে রয়েছে তার উপর। স্টেজ ১, যেখানে ক্যান্সার ১ সেমি জায়গায় ছড়িয়েছে, সেখানে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশের বেশি। কিন্তু স্টেজ ৪ ম্যালিগনেন্সির ক্ষেত্রে বাঁচার আশা প্রায় থাকেই না।
ডা. দেশপান্ডে আরও বলেন, একজন রোগী কত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং কীভাবে চিকিত্সায় সাড়া দেবেন তাতে বয়সের একটা ভূমিকা রয়েছে। তবে স্টেজ ১-এ কারও ক্যান্সার ধরা পড়লে ৮ বা ৮০ দু’ক্ষেত্রেই সেরে ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি। একইভাবে স্টেজ ৪-এ গিয়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে বয়স কম হলেও চিকিৎসায় খুব একটা সুবিধে হয় না।
অ্যাক্টিভ এবং প্যাসিভ দু’ধরনের ধূমপায়ীদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে ডা. দেশপান্ডে বলেন, অ্যাক্টিভ স্মোকাররা প্যাসিভ স্মোকারদের তুলনায় ৪ থেকে ১০ শতাংশ বেশি ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। একই সঙ্গে বলব, শুধু ধূমপান নয়, বর্তমানে বায়ু দূষণও ফুসফুস ক্যান্সারের জন্যে সমান দায়ী। শুধু ক্যান্সার নয়, ধূমপানের জন্যে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
ডা. দেশপান্ডে বলেন, সচেতন মানুষকে রোগব্যধি সহজে কাবু করতে পারে না। আর সচেতনতাই ক্যান্সার চিকিৎসার প্রথম ধাপ। তাই সচেতন থাকতে তাঁর পরামর্শ হলো-
* শুরুতে অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যান। সঠিক চিকিত্সা করালে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।
* মদ্যপান, ধূমপান এবং গুটখা জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকুন। প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার থেকে দূরে থাকুন।
* নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন।
* হেলদি ডায়েট ফলো করুন এবং নিয়মিত চেকআপ করান।
এএইচ/