করোনা ভাইরাস: চীন ফেতরদের কোনো আলামত মেলেনি
প্রকাশিত : ১৬:০৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৬:০৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান‘র (আইইডিসিআর) সাংবাদ সম্মেলন
করোনা ভাইরাসের আক্রমণে চীনে প্রায় সাড়ে তিন শত মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক সহস্র মানুষ। চীনের উহান থেকে ফেরত আসা ৮ প্রবাসী বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। একই সঙ্গে ফেরত আসা বাকি ৩০৪ বাংলাদেশির কারো শরীরেই করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।
আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালী আইইডিসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মিরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, ‘উহান থেকে আসা ৭ বাংলাদেশিকে পরীক্ষা শেষে আবারো ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আশকোনো হজ ক্যাম্পে। আর আন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুঁকি থাকায় তাকে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। এছাড়া উহান থেকে ফেরত আসা সব বাংলাদেশির বিমানে থাকা অবস্থায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। তখন আট জনের তাপমাত্রা থাকায় তাদের হাসপাতালে রাখা হয়।’ তবে সিএমএইচ হাসপাতালে যিনি ছিলেন তিনি এখনো সেই হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার ছোট বাচ্চা থাকায় তাকে সেখানে রাখা হয়েছে, আরেকটি পরিবারে ছোট্ট বাচ্চা থাকায় তাদেরও সেখানে রাখা হয়েছে বলে জানান আইইডিসিআর পরিচালক।
গতকাল যদিও একজনের তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে, তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। বাকিরা সবাই ভালো আছেন।
চীনের উহান থেকে দেশে ফিরেছেন ৩১২ জন বাংলাদেশি। এছাড়া নিজ দেশে ছুটি কাটিয়ে ২৩ জন চীনা নাগরিকও শনিবার ঢাকায় ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। বাকি ৩২৫ জন বাংলাদেশি ও চীনা নাগরিককে কোয়ারেন্টাইনের জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তবে সেখানে গণরুমের মেঝেতে ঢালাও বিছানা ও একসঙ্গে অনেকের থাকার ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন চীন থেকে আসা ব্যক্তিরা।
এদিকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও সর্ত্কতার সঙ্গে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
গত শনিবার চীনের ইহান থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইটে করে ৩১২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের মধ্যে ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বাকিদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া যায় হয়।
এমএস/