ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে ৫ উপদেশ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে এই ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। 

করোনা ভাইরাস নিয়ে একুশে টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান একুশের রাতে কথা বলেছেন রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রক ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. মুশতাক হোসেন।

চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং দেশটির সঙ্গে যাওয়া-আসার যে ব্যবস্থা, এতে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে কতটুকু সফলতা লাভ করা সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, একেবারে শতভাগ ঠেকানো সম্ভব না। যেমন বিমানবন্দর দিয়ে যখন কেউ আসে, তখন হয়ত তার ভেতরে থাকা ভাইরাসটা প্রকাশ নাও পেতে পারে। ৩/৪ দিন পর তার জ্বর দেখা দিতে পারে। এ জন্য বিমানবন্দরে জ্বর নিয়ে যে পরীক্ষা করা হয়, সেটার সঙ্গে ব্যক্তিকে সচেতন করে দেয়াও দরকার, যে আপনি দেশের ভেতর গিয়েও আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়ে দেয়া যে, এই এই লক্ষণগুলো দেখলে আপনি এই হটলাইনে টেলিফোন করবেন। আপনার অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ‘তাই আমরা শতভাগ এটা ঠেকাতে না পারলেও, এটাকে বিলম্বিত করতে পারি’, যোগ করেন তিনি। 

ডা. মুশতাক বলেন, ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু মহামারি হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এটা একমাস পরে আমাদের দেশে আসে। এর আগে আমাদের বিমানবন্দরে খুবই কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়া হয়।  তো সে অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। আর এবারও সেভাবেই আমরা আগাচ্ছি। একদিকে হচ্ছে, সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিকভাবে রোগটাকে নিয়ন্ত্রণ করা, রোগটার বিস্তার যতখানি ঠেকিয়ে রাখা যায়, এ কাজগুলো করা হচ্ছে। আরেকটা হচ্ছে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা। 

তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে ৫টা উপদেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। প্রথমত, ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বাংলাদেশও তো উহানের মতো প্রাণীর সঙ্গে জড়াজড়ি করে থাকি। তাই এখানেও প্রাণীর সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়া চীনের মতো হওয়ার সুযোগ আছে। তাই আমরা যদি স্বাস্থ্যগত অভ্যাসটা গড়ে না তুলি, তবে এখান থেকেও নতুন ভাইরাস হতে পারে। কাজেই সাবান দিয়ে হাত ধুলে সে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। দ্বিতীয়ত, হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় আমরা নাক মুখ ঢেকে দিব। যেমন-টিস্যু পেপার দিয়ে দেয়া বা অন্য কোনও উপায়ে। তৃতীয়ত, যেখানে সেখানে কফ থুথু ফেলা যাবে না। এই অভ্যাসটা অবশ্যই আমাদের বন্ধ করতে হবে। চতুর্থত, মার্কেটে যারা গরুর মাংস, মুরগি এসব বিক্রি করে তারা যদি সুরক্ষার ব্যবস্থা না নেয়, তবে তারা প্রাণীর রোগ থেকে আক্রান্ত হতে পারে। আর যারা বাজারে গিয়ে এসব কিনে, তখন এসব হাতে ধরার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। 
আর পঞ্চমত, মাছ, মাংস, ডিম অনেকে আধা কাঁচা রেখে খায়। এটা যেন না করে। এগুলো যেন তারা পুরোপুরি সিদ্ধ করে খায়। 

ডা. মুশতাক বলেন, এই নিয়মগুলো মানলে ব্যক্তিগতভাবে আমি সুরক্ষিত হলাম। আর সরকার এবং সামাজিকভাবে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এবং এই ভাইরাসের আতঙ্ক যেন জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

ভিডিও দেখুন...

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি