যেভাবে মাংস খেলে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা নেই
প্রকাশিত : ১৯:০৬, ৬ মার্চ ২০২০
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে দেশের অনেকেই মাংস খাওয়া বাদ দিয়েছেন। অনেকেরই ধারণা, এ ভাইরাস (কোভিড-১৯) হয়তো মাছ-মাংসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কেউই কিন্তু মাংস খাওয়ায় বাধানিষেধ দেননি। শুধু জানিয়েছেন কিছু বিশেষ নিয়মের কথা। মাংস খাওয়ায় কোনও বাধা নেই।
বাংঙ্গালীরা যেসব মাংস খান, তাতে কোনভাবেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে তাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।
ফ্রিজেও বেঁচে থাকে এই ভাইরাস। তাই মাংস কেনা, রান্না ও ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখার বিষয়ে সচেতন থাকলেই এড়ানো যাবে করোনা গ্রুপের এই কোভিড-১৯-এর আক্রমন। কোন কোন দিকে খেয়াল রাখবেন, দেখে নিন।
মাংস কেনার সময়:
মাংস কেনার আগে ভাল করে দেখে নিন, যে মাংস কিনছেন তা টাটকা কিনা। বাসি মাংস মানেই যে করোনার ভয় থাকবে, তা একেবারেই নয়। তবে বাসি মাংস থেকে অন্য সংক্রমণ ছড়াতে পারে। মাংস বাসি হলে তাতে অন্য জীবাণু ধারণ করার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তা ছাড়া যে মাংস কিনছেন, সেই পশু বা পাখিটি আগেই মৃত হলে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটা জানার উপায় থাকে না। তাই অন্তত এই সময়টুকুর জন্য পারলে সামনে দাঁড়িয়ে কাটিয়ে নিন অথবা সদ্য কাটা হয়েছে এমন মাংস কিনুন।
প্রক্রিয়াজাত মাংস নয়:
প্রিজারভেটিভ মেশানো টিনবন্ধ বা প্যাকেটজাত করা মাংস কয়েকটা দিন এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন ফুড চেনে মেলা বার্গার, পিৎজা বা চিকেনে যে সব মাংস ব্যবহার করা হয়, তারাও অধিকাংশই প্যাকেটজাত কিংবা প্রিজারভেটিভ মেশানো। সাবধানতার জন্য এড়িয়ে চলুন সে সব। বরং মাংস কিনে বাড়িতেই রান্না করে নিন।
মাংস ধোওয়া:
গরম পানিতে ধুয়ে নিন মাংস। সামান্য গরম পানিতে লবন দিয়ে সেই পানিতে মাংস ধুলে মাংসের গায়ে থাকা রোগ জীবাণু অনেকটাই ধুয়ে যায়। এতেই কাজ হয়ে যায় অনেকখানি।
মাংস রান্না
একটাই শর্ত মানুন। মাংস যেন সুসিদ্ধ হয়। বাংলাদেশি ও ভারতীয়রা যে তাপমাত্রায় মাংস রান্না করে খান, তাতে কোনও ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে না। তাই মাংস সুসিদ্ধ হলেই নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। অনেক সময় কম আঁচে বা কম সময়ে মাংস রান্না করলে ভাল করে সেদ্ধ হয় না মাংস। তাতে রোগ হানা দিতে পারে।
মাংস সংরক্ষণ
ফ্রিজেও বেঁচে তাকতে পারে করোনা গ্রুপের কোভিড-১৯ ভাইরাস। তাই ফ্রিজ পরিষ্কার রাখতেই হবে। মাংসসহ যে কোনও খাবার ফ্রিজে রাখার পর তা গরম করে খাওয়ার আগে বার করে কিছুক্ষণ বাইরে রাখুন। ভাল করে গরম করে খান। তাতে আর ভয় থাকবে না।
এমএস/এসি