‘আমি তো দেখেছি কত যে স্বপ্ন মুকুলেই ঝরে যায়’
প্রকাশিত : ১৫:২৩, ৩ এপ্রিল ২০২০
ছোট মরিয়ম। বয়স মাত্র ১৭ মাস। কমলা আর কলা খেতে পছন্দ করে সে। বাবার ঘাড়ে চড়ে বাইরে ঘুরতেও পছন্দ করে মরিয়ম। বাসায় বিছানায় শুয়ে থাকতে মোটেও চায় না সে। আর তিতে ওষুধ খেতেও পছন্দ করে না । কিন্তু কি করবে এ বয়সে দেহে বাসা বেধেঁছে বড় অসুখ। হার্ট ফুটো সাথে ফুসফুসের সমস্যা। প্রতিদিনই জোড় করে বাবা আর মা ওষুধ খাইয়ে দেয় তাকে।
এতটুকু মেয়ের এত কষ্ট। চিকিৎসক জানান, অপারেশন করতে হবে লাগবে অনেক টাকা। বাবা মা হিসেব কষতে বসেন। না হয় না। একজনের চাকরিতে এত টাকা জমানো নেই। কী হবে? দুচোখ ভরে যায় চুপচাপ জলে। জীবনের করুণ চিত্র যেন তাদের সামনে। অর্থ কষ্ট আর প্রিয় সন্তানের তিলে তিলে ক্ষয়ে যাওয়া। তাদের নিঃশব্দ কান্না দেখে শুধু রাতের আকাশ।
এই প্রথম তারা অনুভব করেন মধ্যবিত্ত হওয়া বড় কষ্টের। না বলা যায়, না হাত পাতা যায়। তারপরেও বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে, তাকে বাঁচাতে লজ্জিত মুখে বাবা বলেন, টাকা লাগবে। হাত পাতেন পরিচিত সবার কাছে।
কিন্তু তাতেও যোগার হয়না অপারেশনের টাকা। টাকা না পেলে যে ছোট্ট মরিয়ম আরও অসুস্থ হয়ে যাবে। মা আঁকড়ে ধরেন মেয়েকে। বিশ্বাস তার এত বড় পৃথিবীতে আছেন কোনো না কোনো সহৃদয়বান মানুষ। তারা হাত বাড়ালেই সুস্থ হবে মরিয়ম।
মায়ের কোল জুড়ে আলো হয়ে থাকবে মরিয়ম। মায়ের চোখের পানি মুছিয়ে দেবে। তাকিয়ে আছেন সেই মানুষদের দিকে। যাদের সহায়তায় সুস্থ হবে তার মরিয়ম। আমরা জানি সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। মানবিকতা, মায়া মমতায় অনন্য আমরা। আমরাই পারি এই দুর্দিনে কিছু অর্থ সাহায্য করে মরিয়মকে তার বাবা মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে। কোন স্বপ্নকে মুকুলেই ঝড়ে যেতে না দেই আমরা!!
যোগাযোগ- বিকাশ নাম্বার -০১৯১১১২৩৮৩৭