ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

নিউইয়র্ক টাইমসের পাতাজুড়ে মৃত মার্কিনীদের নাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩৫, ২৪ মে ২০২০

নিউইয়র্ক টাইমস’র আজকের পত্রিকার একটা চিত্র।

নিউইয়র্ক টাইমস’র আজকের পত্রিকার একটা চিত্র।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনা ভাইরাসের আর্বিভাব হলেও ভাইরাসটি কয়েক মাসের ব্যবধানেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। কোন পরাশক্তিকে আমলে না নিয়েই শক্তিধর দেশগুলোকে নাজেহাল করছে কোভিড-১৯। প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দেশটির আশপাশেও নেই কোনো দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১২৪ জন মারা গেছেন। 

দেশটির দুর্দশার এ চিত্র তুলে ধরে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায় প্রথম পাতাজুড়ে করোনায় মৃতদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ১ হাজার মৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। উপরে বড় অক্ষরে লেখা হয়েছে ‘হিসাবের অসাধ্য ক্ষতি: যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ১ লাখ ছুঁতে চলেছে’।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, রোববার সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৪৮ জন, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। একদিনে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও। প্রায় ২১ হাজার নতুন আক্রান্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২১ হাজার ৬৫৮ জন, যা বিশ্বে মোট আক্রান্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।

আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৯৮ হাজার ৬৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে। সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮২৮ জন। 

টাইমস ইনসাইডার পত্রিকার সহকারী গ্রাফিক্স সম্পাদক সিমোন ল্যান্ডন বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কোভিড-১৯ এ মৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’ল্যান্ডন একদল গবেষকদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন যারা প্রতিদিন করোনায় মৃতদের নাম, পরিচয় ও তাদের একটি সুন্দর বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করবেন। এভাবে ক্রমান্বয়ে নাম, বয়স, স্থান ও তাদের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হচ্ছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে মৃত্যুর তালিকা এত দীর্ঘ হতেও শুরু করে যা কিনা তাদের জন্য শোকের ও বেদনার বিষয়বস্তুতে রূপ নেয়। 

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস’র ব্যক্তিক্রমী এমন উদ্যোগ অবাক করেছে সবাইকে। পত্রিকার প্রধান ক্রিয়েটিভ অফিসার টম বোডকিন বলেন, আমি আমার ৪০ বছর কর্মজীবনে নিউইয়র্ক টাইমস’র প্রথম পাতা কোনো ছবি ছাড়া প্রকাশ হতে দেখিনি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রথম এমনটা হয়েছে বলা চলে।

এমএস/এনএস


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি