ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

চীনকে ঠেকাতে একজোট ৮ দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩২, ৭ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৫:০০, ৭ জুন ২০২০

বৈশ্বিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার ইস্যুতে চীনকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আট দেশের আইনপ্রণেতারা একটি জোট গঠন করেছেন। চীনের উদীয়মান প্রভাব কমাতে ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়না নামের এ জোট গঠিত হয়েছে। 

এর সদস্য দেশ হল- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন ও নরওয়ে। 

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও, ডেমোক্র্যাট সিনেটর বব মেনেনদেজ, জাপানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি, ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি সদস্য ম্রিয়াম লেক্সম্যান ও ব্রিটিশ কনজারভেটিভ এমপি লিয়ান ডানকান স্মিথ সবাই নতুন এ জোটের সহ-সভাপতি।

এদিকে হংকংয়ের ওপর বেইজিংয়ের জাতীয় সুরক্ষা আইন আরোপের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে জোটটি। নেতারা বলেন, এ আইন হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্য হুমকি। গোষ্ঠীটি বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য হল ‘উপযুক্ত এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়া তৈরি করা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে একটি সক্রিয় এবং কৌশলগত পদ্ধতিতে মোকাবেলা করা।’

হংকংয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে চীনকে লক্ষ্য করে টুইটারে একটি ভিডিও বার্তায় রুবিও বলেছেন, ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শাসনে চীন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করে।’ তিনি বরাবরই বেইজিংয়ের সমালোচক। 

রুবিও আরও বলেন, আমাদের ভাগ করা মূল্যবোধের সাধারণ সুরক্ষা হিসেবে গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে একত্রিত হওয়ার সময় এসেছে।

এদিকে ভারতকে কার্যত হুমকি দিয়ে বেইজিং বলেছে, ভারত যেন আমেরিকার কথায় বোকামি না করে। যেন সুস্থ পড়শি হয়েই থাকে। কারণ তারা তাদের অঞ্চলের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। 

চীন সরকারের মুখপত্র হিসিবে পরিচিত রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ‘চীন ভারতের কোনও খারাপ চায় না। গত কয়েক দশক ধরেই চীনের মূল জাতীয় নীতি হচ্ছে সুস্থ, স্বাভাবিক প্রতিবেশীমূলক সম্পর্ক। চীন সবসময় সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।’ 

এরপরই ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সুসম্পর্কের দিকে কটাক্ষ করে চীনের হুশিয়ারি, ওয়াশিংটনের দ্বারা পরিচালিত হয়ে যেন বোকামি না করে ভারত। যখনই ভারত-চীন সমস্যা হয়, সেখানে লাভের আশায় সবসময় ভারতকে সমর্থন করে আমেরিকা। এতে সীমান্ত সমস্যা আরও জটিল হয়।’

প্রসঙ্গত, ভারত-চীনের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়েছে। বিগত একমাস ধরে চলছে লাদাখ সীমান্তে দু’দেশের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি। শনিবার লাদাখ সীমান্তে দু’দেশ আলোচনায় বসে।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি