আমেরিকায় প্রতিদিন এক লাখ লোক আক্রান্ত হলেও অবাক হব না: ফাউসি
প্রকাশিত : ১৭:২৫, ১ জুলাই ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসাচ ডিজিজ’র পরিচালক অ্যান্তনি ফাউসি
আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ অ্যান্তনি ফাউসি বলেছেন, ‘মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে হাঁটছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রতিদিন এক লাখ লোক আক্রান্ত হলেও অবাক হব না।’
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম ও পেনশন কমিটির এক শুনানিতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসাচ ডিজিজ’র (এনআইএআইডি) পরিচালক ফাউসি বলেন, ‘আমি উদ্বেগে রয়েছি। যা ঘটছে, এতে আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ, আমরা ভুল পথে হাঁটছি। আমি সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না, তবে এটি খুব খারাপ হতে চলেছে।’ খবর পার্স টুডে’র।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় করোনা ভাইরাস বিস্তারের নতুন কেন্দ্র স্থল হিসেবে টেক্সাস ও ফ্লোরিডায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। দেশ জুড়ে প্রতিদিন এখন ৪০ হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে। দ্রুত সংক্রমণ কমিয়ে আনা উচিত, যাতে দেশজুড়ে সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ না করে। আমাদের হাতে এখন আর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই। এখন যদি এটা ঘুরে না দাঁড়ায়, তবে দিনে এক লাখ সংক্রমণ ছাড়ালেও অবাক হব না।’
ফাউসি মার্কিন তরুণদের জন্য কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ‘তরুণেরা মাস্ক না পরেই এক হয়ে বিপজ্জনক আচরণ করছে। তারা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানছে না। আমাদের এখন দায়িত্বের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। ব্যক্তি ও সামাজিক প্রচেষ্টা হিসেবে মহামারি মোকাবিলা করতে হবে।’
রিপাবলিকান সিনেটর লামার আলেক্সান্ডার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, ‘মাস্ক পরার বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির ইতি টানার ক্ষমতা ট্রাম্পের আছে। বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে যে ট্রাম্পের পক্ষে থাকলে মাস্ক পরার দরকার নেই। আর কেউ মাস্ক পরলে সে ট্রাম্প বিরোধ। ট্রাম্পের অনেক অনুসারী আছেন। তিনি মাস্ক পরলে তারা তাকে অনুসরণ করতে পারেন।’ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে জো বাইডেন ট্রাম্পকে নেতৃত্বের ঘাটতি ও মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার বিষয়গুলো তুলে ধরছেন।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় করোনায় ২৬ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ জনের। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় দেশটির অন্তত ১৬টি অঙ্গ রাজ্যের সব কিছু খুলে দেয়ার পরিকল্পনা থেকে প্রশাসনকে সরে আসতে হয়েছে। টেক্সাস, ফ্লোরিডা এবং অ্যারিজোনার মতো রাজ্যগুলো বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
এমএস/
আরও পড়ুন