ভাবমূর্তি উদ্ধারে মরিয়া ট্রাম্প
প্রকাশিত : ২১:০৭, ১৬ জুলাই ২০২০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চার মাসও বাকি নেই। জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় প্রচার অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজারকে বরখাস্ত করে নতুন করে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা শুরু করলেন ট্রাম্প। খবর ডয়চে ভেলে’র।
প্রেসিডেন্ট হবার পর থেকে যাবতীয় সমালোচনার মুখেও ডনাল্ড ট্রাম্প এতকাল নিজস্ব অবস্থানে অটল থেকেছেন। সমালোচনার তোয়াক্কা করেননি। নিজের অনুগামীদের অটুট সমর্থন তাঁকে সেই আত্মবিশ্বাস দিয়ে এসেছে। কিন্তু আগামী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে দুশ্চিন্তার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। কারণ প্রায় সব জনমত সমীক্ষায় পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ভোটারদের মধ্যে নিজের ভাবমূর্তির উন্নতির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।
সেই প্রচেষ্টার আওতায় নিজের প্রচার অভিযান জোরদার করতে সবার আগে দীর্ঘদিনের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফেইসবুকের মাধ্যমে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, তিনি ব্র্যাড পার্স্কালকে সরিয়ে বিল স্টেপিয়েনকে নিজের প্রচার অভিযানের দায়িত্ব দিচ্ছেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য তুলে ধরার কৌশলকে প্রাধান্য দিতেই তিনি স্টেপিয়েনকে নিয়োগ করলেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। অবশ্য ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পার্স্কালকে উপদেষ্টা হিসেবে রেখে দিচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি ট্রাম্পের প্রচারের সময়ে সমর্থকদের ভিড় দেখা যায়নি। গত মাসে ওকলাহামা রাজ্যে এক জনসভায় প্রায় খালি স্টেডিয়ামে তাঁকে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। ব্র্যাড পার্স্কালের পূর্বাভাষ সত্ত্বেও এমন অঘটন ঘটায় ম্যানেজার হিসেবে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। ট্রাম্প ও তাঁর জামাই জ্যারেড কুশনারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিল স্টেপিয়েন এর আগে হোয়াইট হাউসের ‘পোলিটিকাল ডায়রেক্টর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প ২০১৬ সালের সফল প্রচার অভিযানে সক্রিয় ভূমিকার জন্য পার্স্কাল ও স্টেপিয়েনের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের দ্বিতীয় কার্যকালের পূর্বাভাষ দেন তিনি।
করোনা সংকটের মাঝে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে অনুগামীদের একাংশেরও সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প। মারাত্মক এই ভাইরাস সম্পর্কে তাঁর ঢিলেঢালা মনোভাব এবং এর অর্থনৈতিক ক্ষতি সামাল দিতে ব্যর্থতার কারণে তিনি প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন। লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়ায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের ব্যর্থতার অভিযোগ করে চলেছেন।
প্রচার অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সংঘর্ষের উপর ভোটারদের রায় নির্ভর করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ২০১৬ সালেও নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে থাকলেও শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পের কাছে হেরে যান।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন